সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্বল পরিকাঠামো এবং যথাযথ পরিকল্পনার অভাবেই গোয়ার মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল তথ্যানুসন্ধান দল। গোয়া সরকারের কাছে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চাইলেই এই দুর্ঘটনাটি এড়ানো যেত। মন্দিরের নির্দেশাবলী সঠিকভাবে পালন করা হয়নি।
গোয়ার রাজস্ব সচিব সন্দীপ জ্যাকসের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি পুলিশ-প্রত্যক্ষদর্শী-আহতদের সঙ্গে কথা বলে এটা স্পষ্ট যে নিরাপত্তা এবং পরিকল্পনার অভাবেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভক্তদের অবাধ্য আচরণ এবং উপযুক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অভাবের কারণে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। একইসঙ্গে ওই কমিটি জানিয়েছে, মন্দিরের অপেক্ষাকৃত একটি ঢালু অংশে অতিরিক্ত ভিড় হয়ে যায়। তারপরই ভক্তরা সেখানে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এর জেরেই পদপিষ্টের ঘটনাটি ঘটে। বলা বাহুল্য, এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই গোয়া সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত ২মে গোয়ার লাইরাই দেবীর মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হন প্রায় একশো জন। এদিন অনেক রাতে শিরগাঁওয়ে মন্দিরের বার্ষিক শোভাযাত্রা ‘শ্রী লাইরাই যাত্রা’য় অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। তখনই ঘটে যায় অঘটন। আহতদের গোয়া মেডিক্যাল কলেজ ও উত্তর গোয়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতেই গোয়া সরকারের তরফ থেকে একটি তথ্যানুসন্ধান দল গঠন করা হয়। ঘটনার বারো দিনের মাথায় রিপোর্ট দিল এই কমিটি।