সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি সিদ্ধিবিনায়ক। জ্ঞান, বুদ্ধির দেবতা। কোনও পুজো তাঁকে ছাড়া হয় না। তিনি ছাড়া সব পুজো অসম্পূর্ণ। তিনি গণপতি। দেবতা গণেশ। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে গণেশ পুজোর শুরু হয়।
কবে চলতি বছরের গণেশ চতুর্থী?
২৬ আগস্ট বাংলার ভাদ্র মাসে গণেশ চতুর্থী। পঞ্জিকা মতে দুপুর ১টা ৫৪ মিনিট থেকে চতুর্থী শুরু হচ্ছে। এই তিথি থাকবে পরের দিন ২৭ আগস্ট দুপুর ৩টে বেজে ৪৪ মিনিট পর্যন্ত। সেই হিসাব মতো পুজো করা হবে ২৭ তারিখেই। বাংলার বাইরে এই পুজো ১০ দিন ধরে হয়। সেই মতো দেবতার বিসর্জন হবে ৬ সেপ্টেম্বর।
কী কী করলে পাবেন বিঘ্নহর্তার আশীর্বাদ?
১. সকাল বেলা উঠে স্নান করুন।
২. নতুন বা পরিষ্কার জামা কাপড় পরুন।
৩. ঘরের উঁচু জায়গায় বিগ্রহ স্থাপন করুন।
৪. মিষ্টি বিশেষ করে মোদক দিতে ভুলবেন না।
৫. ধূপ-ধুনো, ফুল দিয়ে দেবতা গণশের পুজো করুন।
৬. গণেশকে দুঃখ বিনাশীও বলা হয়। ভক্তি ভরে পুজো করলে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বলেই মনে করা হয়।
কী কী ভুলেও করবেন না?
১. যদি আপনার বাড়িতে গণেশ প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে বাড়িতে গণেশের ভোগ তৈরি করার সময় রসুন এবং পিঁয়াজ ব্যবহার করা যাবে না।
২. গণেশ পুজোয় একেবারেই তুলসী ব্যবহার করা যাবে না। গণেশ পুজোয় তুলসী ব্যবহার করলে শুভ ফল পাওয়া যায় না।
৩. পুরনো মূর্তি থাকে তবে তা বিসর্জন করুন। মনে রাখবেন বাড়িতে গণেশের দু’টি মূর্তি রাখা উচিত নয়।
৪. ভগবান গণেশের মূর্তির কাছে সব সময়ই প্রদীপ বা আলো জ্বালিয়ে রাখুন। ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই ঠাকুরের ঘরে আলোর সুব্যবস্থা করে রাখুন। অন্ধকারে ভগবানের মূর্তি দেখা শুভ বলে মনে করা হয় না।
৫. দেবতার পুজোয় কালো এবং নীল পোশাক পরা উচিত নয়। গণেশের পুজোতেও কালো এবং নীল রঙের পোশাক পরবেন না।