চন্দ্রভাগায় দু’দিনে জলপ্রবাহ কমেছে ৯১ হাজার কিউসেক! সিন্ধু কোপে দিশাহারা পাকিস্তান

চন্দ্রভাগায় দু’দিনে জলপ্রবাহ কমেছে ৯১ হাজার কিউসেক! সিন্ধু কোপে দিশাহারা পাকিস্তান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না।’ পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের পর এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই মতো সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানকে শুকিয়ে মারার প্রক্রিয়া কী ধাপে ধাপে শুরু করল ভারত? চন্দ্রভাগা নিয়ে পাকিস্তানের ‘জল এবং বিদ্যুৎ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (ডব্লিউপিডিএ) এক রিপোর্ট তুলে ধরেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, গত দু’দিনে চন্দ্রভাগা নদীর জলপ্রবাহ কমেছে ৯১ হাজার কিউসেক।

শনিবার চন্দ্রভাগা নদীর জলপ্রবাহের যে রিপোর্ট তুলে ধরা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ভারত হয়ে মারালার দিকে জলপ্রবাহ হয়েছে ৯৮ হাজার ২০০ কিউসেক। শুক্রবার তা কমে দাঁড়ায় ৪৪ হাজার ৮০০ কিউসেক। শনিবার সেটা একধাক্কায় আরও কমে গিয়ে হয় মাত্র ৭ হাজার ২০০ কিউসেক। অর্থাৎ মাত্র দুদিনে জলপ্রবাহ কমেছে ৫১ হাজার কিউসেক। বলার অপেক্ষা রাখে না এভাবে যদি নদীর জলপ্রবাহ কমতে থাকে তাহলে পাকিস্তানের শুকিয়ে মরা সময়ের অপেক্ষা। এই ঘটনায় ভারতের বিরুদ্ধে ফুঁসতে শুরু করেছে পাকিস্তান সরকার।

ভারতের এই পদক্ষেপের বিরোধিতায় ক্ষোভ উগরে পাকিস্তানের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’কে জানান, “ভারত চন্দ্রভাগা নদীতে জলপ্রবাহ আটকে দিয়েছে। বর্তমানে তারা সেই জল তাদের বিভিন্ন বাঁধ বা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে মজুত করছে। ওরা আমাদের জল ব্যবহার করছে। এটা অন্যায়। এটা আমরা কোনওভাবেই মানব না।” জানা যাচ্ছে, এই ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের কাছে অভিযোগও জানিয়েছে পাকিস্তান। উল্লেখ্য, চন্দ্রভাগার অববাহিকায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জলবিদ্যুৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে ভারতের। যেগুলি হল, পাকাল দুল বাঁধ, রামবনের বগলিহার বাঁধ ও সালাল বাঁধ। প্রতিটি বাঁধেরই প্রায় ৩ লক্ষ একর ফুট করে জলধারন ক্ষমতা রয়েছে। কয়েক হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় এখান থেকে। পাকিস্তানের অভিযোগ, এই সমস্ত বাঁধে জমা করা হচ্ছে চন্দ্রভাগার জল।

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয় ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয় ১৯৬০ সালে নেহেরু আমলের ভারত-পাক সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সই হওয়া ওই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু এবং তার দুই উপনদী, বিতস্তা (ঝিলম) ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ও কর্তৃত্ব থাকবে। ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে তিন উপনদী বিপাশা, শতদ্রু এবং ইরাবতী। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের অধিকারে থাকবে সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির মোট জলের ৮০ শতাংশ ও ভারতের মাত্র ২০ শতাংশ। সেই জলে কোপ পড়তেই আতঙ্কিত পাকিস্তান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *