সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি পদে এবার দক্ষিণ বনাম দক্ষিণের লড়াই। এনডিএ জোটের প্রার্থী সিকে রাধাকৃষ্ণণের বিরুদ্ধে বিরোধীরাও বেছে নিয়েছেন অন্ধ্রের বাসিন্দা, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডিকে। উদ্দেশ্য, ছিল অন্ধ্রের বড় দুই দলকে অস্বস্তিতে ফেলা। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য সম্ভবত সফল হচ্ছে না। অন্ধ্রের দুই বড় রাজনৈতিক দল টিডিপি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস, দুই দলই এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত একপ্রকার পাকা করে ফেলেছে।
এনডিএর অন্যতম শরিক টিডিপি এখন অন্ধ্রের শাসকদল। আর দক্ষিণের রাজ্যগুলির ভাষা নিয়ে অস্মিতা যে কতটা প্রবল, সেটা সকলের জানা। ইন্ডিয়া জোটের আশা ছিল, অন্ধ্রের বাসিন্দা এবং তেলুগুভাষী হওয়ায় অন্ধ্রের প্রধান দুই দল টিডিপি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস আর তেলেঙ্গানার দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি বাধ্য হতে বি সুদর্শন রেড্ডিকে সমর্থন করতে বাধ্য হবেন। কিন্তু টিডিপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, তাঁদের অবস্থানে কোনও অস্বচ্ছ্বতা নেই। তাঁরা এনডিএ জোটের সঙ্গেই আছেন। টিডিপির শীর্ষ নেতা তথা চন্দ্রবাবুর ছেলে নারা লোকেশ বলে গেলেন, বি সুদর্শন রেড্ডির প্রতি আমাদের সম্মান আছে। কিন্তু এনডিএ ঐক্যবদ্ধ। একই অবস্থান ওয়াইএসআর কংগ্রেসেরও। ভারত রাষ্ট্র সমিতি অবশ্য এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।
এনডিএ-তে ভাঙন ধরানোর যে চেষ্টা ইন্ডিয়া জোট করেছিল সেটা সফল হলে উপরাষ্ট্রপতি ভোটের লড়াই জমজমাট হত। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সংসদের দুই কক্ষের সাংসদরা। এই মুহূর্তে সংসদের দুই কক্ষে ভোটার ৭৮২। অর্থাৎ উপরাষ্ট্রপতি পদে জিততে হলে বিজেপির দরকার ৩৯২ ভোট। এনডিএর হাতে সংসদের নিম্ন কক্ষ অর্থাৎ লোকসভায় সদস্য সংখ্যা ২৯৩। আর উচ্চকক্ষে সাংসদ সংখ্যা ১৩৩। অর্থাৎ দুই কক্ষ মিলিয়ে ৪২৫-এর বেশি সাংসদ রয়েছে এনডিএর হাতে। এর বাইরে থেকে ওয়াইএসআর কংগ্রেস শাসক শিবিরকে সমর্থন করবে। ফলে উপরাষ্ট্রপতি ভোটে জিততে খুব একটা চাপে পড়ার কথা নয় এনডিএর।
তবে ইন্ডিয়া জোট আশা ছাড়ছে না। কিছুদিন আগে ইন্ডিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়া আম আদমি পার্টি বিরোধী প্রার্থীকেই সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে। বিরোধীদের তরফে বিআরএস এবং বিজেডির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে এনডিএ-তে ভাঙন ধরাতে না পারলে তাতে বিশেষ লাভ হবে না।