সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার একধাক্কায় এইচ-১বি ভিসার দাম ১ লক্ষ ডলার (প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মার্কিন এই নীতির ফলে ভারতীয়রাই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন মুলুকের ভারতীয়দের জন্য কিছুটা স্বস্তি দিল ট্রাম্প প্রশাসন। ভিসা নীতি ঘোষণার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই নতুন করে বিবৃতি দিল হোয়াইট হাউস। জানানো হয়েছে, এইচ-১বি ভিসার চড়া এককালীন এই মূল্য শুধুমাত্র নতুন আবেদনকারীদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। যাদের আগে থেকেই এই ভিসা রয়েছে, তাদের নতুন করে কোনও মূল্য দিতে হবে না।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট বলেন, “এটি কোনও বার্ষিক ফি নয়। এটি এককালীন মূল্য, যা কেবল নতুন ভিসা আবেদনকারীদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। তবে যারা ২১ সেপ্টেম্বরের আগে ভিসার জন্য আবেদন করছেন, তাঁদের ছাড় রয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বরের পরে ভিসা আদেদনকারীদের এই চড়া মূল্য দিতে হবে। কিন্তু যাদের আগে থেকেই এইচ-১বি ভিসা রয়েছে, তাঁদের বাড়তি কোনও মূল্য দিতে হবে না। ভিসা পুনর্নবীকরণের জন্যও বাড়তি মূল্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই।” তিনি আরও বলেন, “যাদের ইতিমধ্যেই এইচ-১বি ভিসা রয়েছে এবং বর্তমানে আমেরিকার বাইরে আছেন, তাদের পুনরায় দেশে প্রবেশের জন্য কোনও অর্থ দিতে হবে না।”
১৯৯০ সালে আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসা চালু হয়েছিল। ন্যূনতম স্নাতক স্তরের ডিগ্রি থাকলে এই ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। তা বৃদ্ধিও করা যায়। এই ভিসায় আমেরিকায় থেকে, পেশাদার হিসাবে কাজ করতে করতে আমেরিকার গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন কর্মীরা। গ্রিন কার্ড বা স্থায়ী নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে এইচ-১বি ভিসার মেয়াদ ইচ্ছামতো বাড়ানো যায়। আসলে এই ভিসার অধীনে বিদেশ থেকে যাঁরা আমেরিকায় কাজ করতে যান, মার্কিন কর্মীদের সমান বেতনই তাঁরা পেয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিষয়েই আপত্তি রয়েছে ট্রাম্পের। মেধায় সমান হলেও মার্কিন সংস্থাগুলি থেকে ভারতীয়-সহ সমস্ত বিদেশিদের তাড়ানোই উদ্দেশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে অ্যামাজন এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলি ১২ হাজার এইচ-১বি ভিসার আবেদন মঞ্জুর করেছে। মাইক্রোসফ্ট, মেটার মতো সংস্থা সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে পাঁচ হাজার করে আবেদনে। এখানেই আপত্তি ট্রাম্পের। এই ধারাকে পরিবর্তনে বদ্ধপরিকর বর্তমান মার্কিন সরকার।