আরসিবি: ৯৫/৯ (ডেভিড ৫০*, মার্কো জানসেন ১০/২, চাহাল ১১/২)
পাঞ্জাব কিংস: ৯৮/৫ (নেহাল ৩৩*, হ্যাজেলউড ১৪/৩, ভুবনেশ্বর ২৬/২)
৫ উইকেটে জয়ী পাঞ্জাব কিংস।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের মাঠ মানেই যেন আতঙ্ক আরসিবি’র। এদিন চিন্নাস্বামীতে আরও বড় লজ্জার ভয়ও ছিল। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৪২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বেঙ্গালুরু। তাড়া করছিল, আইপিএলের ইতিহাসে ফের সর্বনিম্ন রান করার চরম অস্বস্তি। টিম ডেভিডের সৌজন্যে সেটা শেষ পর্যন্ত না হলেও জয় এল না আরসিবির ঝুলিতে। বিরাটদের ৫ উইকেটে হারাল শ্রেয়সের পাঞ্জাব।
এদিন চিন্নাস্বামীতে বৃষ্টির জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় আরসিবি-পাঞ্জাব ম্যাচ। ম্যাচের সময়সীমা কমে দাঁড়ায় ১৪ ওভারে। টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স। বৃষ্টির জন্য পিচ স্যাঁতসেঁতে, বল টার্ন করছে, বাউন্সও অসমান। ফায়দা তোলার কোনও সুযোগই ছাড়তে চাননি শ্রেয়স। চার মেরে ফিল সল্ট ইনিংস শুরু করেছিলেন। ফিরে গেলেন অর্শদীপের ওই ওভারেরই চতুর্থ বলে। সেই শুরু। মাত্র ১ রান করে আউট হলেন কোহলি। লিভিংস্টোন, জিতেশ শর্মা, ক্রুণাল পাণ্ডিয়ারা এলেন আর গেলেন। অধিনায়ক রজত পাতিদার আউট হলেন ২৩ রানে। পরের ওভারে আউট হলেন মনোজ ভান্ডাগে। এক সময় মনে হচ্ছিল, ফের লজ্জার রেকর্ড গড়ে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রান করবে আরসিবি। কিন্তু প্রায় একার হাতে সেটা হতে দিলেন না টিম ডেভিড। শেষ ওভারে তিনটি ছক্কা মেরে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করলেন। দলের রান পৌঁছে দিলেন ৯৫-এ। চাহাল, জানসেন, হরপ্রীত ও অর্শদীপ দুটি করে উইকেট পান।
লক্ষ্যটা কঠিন নয়। পাঞ্জাবের দুই ওপেনার শুরুটা মন্দ করেননি। কিন্তু দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে আচমকাই চাপ বাড়ে তাদের উপর। সেখান থেকে খেলাটা ধরতে চেষ্টা করেন শ্রেয়স আইয়ার ও জশ ইংলিশ। কিন্তু হ্যাজেলউড পরপর দুই বলে পাঞ্জাবের দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন। তারপরও পাঞ্জাবের আকাশে যেটুকু চিন্তার মেঘ ছিল, সেটা কাটিয়ে দিলেন নেহাল ওয়াধেরা। সুয়শ শর্মার এক ওভারে ১৫ রান নিয়ে পাঞ্জাবকে জয়ের আরও কাছে পৌঁছে দিলেন। শশাঙ্ক সিং আউট হয়ে গেলেও তাঁর চওড়া ব্যাটে ভর করেই বেঙ্গালুরুকে হারাল পাঞ্জাব। তিনি নিজে অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে। ১১ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জিতল শ্রেয়সের দল। সেই সঙ্গে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এল লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।