গোয়ালপোখরে পুলিশকে গুলি কাণ্ডে গ্রেপ্তার সাজ্জাকের আরও ১ সহযোগী

গোয়ালপোখরে পুলিশকে গুলি কাণ্ডে গ্রেপ্তার সাজ্জাকের আরও ১ সহযোগী

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: গোয়ালপোখর কাণ্ডে পুলিশের হাতে বিহার থেকে ধরা পড়ল সাজ্জাকের আরও এক সহযোগী। ধৃতের নাম হাবিবুর রহমান। পুলিশের এনকাউন্টারে খতম সাজ্জাক আলমের সঙ্গে রায়গঞ্জ সংশোধনাগারে পরিচয় হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধৃত বছর পঁচিশের যুবক পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে বন্দি সাজ্জাককে পালাতে সাহায্য করেছিল। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থানার পাতনুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

বছর পঁচিশের ধৃত যুবকের বাড়ি বিহারের বলরামপুর থানার দক্ষিণ পারনুর এলাকায়। এদিন ধৃতকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতের আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল বলেন,”বন্দি সাজ্জাক আলমকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ ও বাইক কেনার টাকা দিয়েছিল হবিবুর। গত ১৫ জানুয়ারি ইসলামপুর আদালত থেকে ফেরার পথে পুলিশকে গুলি করে প্রিজন ভ্যান থেকে পালিয়েছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম। দুই পুলিশকর্মী এখনও চিকিৎসাধীন। শনিবার সকালে এনকাউন্টারের সময় পুলিশের গুলিতে মারা যান সাজ্জাক।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘটনার দিন ইসলামপুর আদালতে মামলার শুনানির জন্য তোলা হয়েছিল সাজ্জাককে। আদালত চত্বরেই কোনওভাবে আগ্নেয়াস্ত্র তার কাছে পৌঁছে দিয়েছিল আব্দুল হোসেন ওরফে আবাল। আর সেই আগ্নেয়াস্ত্র কেনার টাকা জোগান দিয়েছিলেন এই হবিবুর। সাজ্জাক ও আবালের সঙ্গে সংশোধনাগারে প্রথম দেখা হয় তিন দুষ্কৃতীর। পুলিশ অনুমান করছে, বাংলাদেশি আব্দুল হোসেন ওরফে আবাল ইতিমধ্যে পুলিশের জালে। সঙ্গী গোয়ালপোখরের শেখ হজরতও বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে। তদন্তকারীরা জানান, পুলিশের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় ধৃত তিন দুষ্কৃতীকে মুখোমুখি জেরা করে গুলিকাণ্ডের মূল পাণ্ডার হদিশ মিলবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *