গোপনে ইরান থেকে তেল আমদানি! নয়া অভিযোগে আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু আমেরিকার

গোপনে ইরান থেকে তেল আমদানি! নয়া অভিযোগে আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু আমেরিকার

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোপনে ইরান থেকে তেল আমদানি করেছে গৌতম আদানির সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ! নয়া এই অভিযোগ সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে আমেরিকা। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সে দেশের বিচার বিভাগ। আমেরিকার প্রথম সারির একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। যদিও আদানি এন্টারপ্রাইস এই অভিযোগ খণ্ডণ করেছে।

আমেরিকার ওই সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা গ্রাহ্য না করেই গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরের মাধ্যমে গোপনে ইরান থেকে তেল আমদানি করেছে আদানি এন্টারপ্রাইজ। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি তেলের ট্যাঙ্কার সেখানে দেখা গিয়েছে।

যদি এই অভিযোগ নস্যাৎ করে আদানি এন্টারপ্রাইজের মুখপাত্র বলেন, “ইরান থেকে গোপনে আমরা কোনও তেল আমদানি করিনি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইচ্ছাকৃতভাবে আদানি গোষ্ঠীর সুনাম নষ্ট করার জন্য এধরণের যড়যন্ত্র করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মার্কিন বিচারবিভাগ কর্তৃক যে তদন্তের কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পর্কেও আমরা অবগত নই।” উল্লেখ্য, গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, “ইরান থেকে তেল বা পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য ক্রয় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।” যে দেশগুলি এই নিষেধাজ্ঞা অস্বীকার করবে, তারা ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এই আবহে আদানির গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা এই নয়া অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। গৌতম, তাঁর ভাইপো সাগর এবং তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, প্রায় ২,২৩৭ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাজারের থেকে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত আদায় করেছিলেন। ওই প্রকল্প থেকে ২০ বছর ধরে প্রায় ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা মুনাফা করার পরিকল্পনা ছিল শিল্পগোষ্ঠীর। প্রকল্পের জন্য আদানি গ্রিন সংস্থা ঋণপত্রের (বন্ড) মাধ্যমে লগ্নিকারীদের থেকে প্রায় ৬৩৩৮ কোটি টাকা তুলেছিল বলেও অভিযোগ।

এর মধ্যে আমেরিকার লগ্নিকারীদের থেকে ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার তোলা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়। আমেরিকার শেয়ার বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করলে আদানি গোষ্ঠীকে সে দেশের সমস্ত আইন মেনে চলতে হবে। সেই কারণেই আমেরিকার শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং ন্যায়বিচার দপ্তর ব্যবস্থা নেয় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা দায়ের হয় আমেরিকার আদালতে। তবে তখনও আদানি গোষ্ঠী এই সকল অভিযোগ নস্যাৎ করে দেয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *