নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিরোধীদের প্রতিবাদ। ‘ডিসেন্ট নোট’ না ‘আপত্তিপত্রে’ গুরুত্ব নয়। মাত্র ১৪টি ধারায় ২৫টি সংশোধনী-সহ রাজ্যসভায় পেশ হল ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট। বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যেই ওই রিপোর্ট গ্রহণ করলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় যৌথ সংসদীয় কমিটি রিপোর্ট পেশ করতেই প্রতিবাদ শুরু করেন বিরোধীরা। কেন রিপোর্টে ডিসেন্ট নোট রাখা হল না? প্রশ্ন তুলে শুরু হয় স্লোগান। মূলত যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের ভূমিকা নিয়ে সরব হয় তৃণমূল-সহ বিরোধী শিবিরে। হট্টগোলের জেরে মিনিট দশেকের জন্য অধিবেশন মুলতুবিও করে দেন চেয়ারম্যান ধনকড়। পরে অধিবেশন চালু হওয়ার পর বিরোধীদের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন চেয়ারম্যান। তাঁর প্রশ্ন, “বিরোধী সাংসদদের কী ন্যূনতম শৃঙ্খলাবোধও নেই? “
উল্লেখ্য, গত বছর আগস্ট মাসে পেশ হয় ওয়াকফ বিল। এই নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের দাবি মেনে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়েছিল সরকার। প্রাথমিকভাবে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহেই। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রিপোর্ট দিতে না পারায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন পর্যন্ত কমিটিকে সময় দেওয়া হয়। তবে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ১৪টি সংশোধনী-সহ ওয়াকফ বিলকে সবুজ সংকেত দেয় কমিটি।
কমিটি গঠনের পর ওয়াকফ বিল নিয়ে ৩৮টি বৈঠক হয়েছে। প্রতিটি বৈঠকেই কোনও না কোনও ইস্যুতে প্রতিবাদ করেছে বিরোধীরা। দেওয়া হয় একাধিক ডিসেন্ট নোট। কিন্তু রিপোর্টে সেগুলির উল্লেখ নেই বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন বলছেন, “এই বিল নিয়ে বিরোধীরা ডিসেন্ট নোট দিয়েছে। কিন্তু সেগুলিকেও এরা মান্যতা দেয়নি। এটা তুঘলকি, স্বৈরাচারী, হিটলারি বিল। এই স্বৈরাচার তৃণমূল কংগ্রেস মানবে না।” এদিকে লোকসভায় এই রিপোর্ট পেশ করার আগেই বিরোধী হট্টগোলে লোকসভার অধিবেশন ২ টো পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছে।