নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আবারও মুখ্যমন্ত্রী বদল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে গুজরাটে। অতীতে বিধানসভা ভোটের একবছরের আগে বিজয় রূপানিকে সরিয়ে দিয়ে ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছিল। এবারে বিধানসভা ভোটের দু-বছরেরও বেশি সময় হাতে থাকতেই সেই কাজ সেরে ফেলতে চাইছে বিজেপি। সূত্রের খবর, ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে সরিয়ে তাঁর জায়গাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যকে বসানো হতে পারে।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্যাটেল অঙ্ক মাথায় রেখেই চলতে চায় বিজেপি। কারণ সেখানকার প্যাটেলরা ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেন। মান্ডব্যও কড়বা প্যাটেল সম্প্রদায়ের। এছাড়াও ভূপেন্দ্রকে সরিয়ে নতুন মুখ আনার পিছনে অন্যতম কারণ বিধানসভা ভোটই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে যে মরিয়া সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ দীর্ঘদিন বিজেপি ক্ষমতায় থাকার পরে সেখানে সরকার বিরোধী হাওয়া রয়েছে।
সঙ্গে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে ভূপেন্দ্রর ব্যক্তিগত ইমেজ। মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অত্যন্ত কম বলে অভিযোগ উঠেছে দলের অন্দর থেকেই। বিজেপি সূত্রের খবর, গতবার যেভাবে রূপানিকে সরানোর সময়ে পুরো মন্ত্রিসভাতেই রদবদল করা হয়েছিল এবারেও সেই একই রাস্তায় বিজেপি হাঁটতে পারে, এমন সম্ভাবনা প্রবল। কারণ সেখানে তিন বছর আগে নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে মন্ত্রিসভায় কোনো রদবদল হয়নি। আবার দলীয় স্তরের রদবদলও বাকি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই।
গত এপ্রিল মাসে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার দু-দিন আগেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন ভূপেন্দ্র। সেইসময়েই তিনি যে রাজ্যের মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন সেকথা বিজেপির পক্ষ থেকেই জানা গিয়েছিল। সঙ্গে গুজরাট রাজ্য বিজেপি সভাপতি সি আর পাতিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরে সেই জায়গায় অন্য কাউকে আনার বিষয়েও কথা হয় সেই সময়েই। পাতিল নিজেই দলের কাছ থেকে দলীয় সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। সেই সময়ে রদবদলের প্রক্রিয়ায় তাঁর আসনই যে টলমল হয়ে গিয়েছে তা আন্দাজ করতে পারেননি ভূপেন্দ্র, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।