সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বড় আকারের এক গ্রহাণু। যার পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা ২ শতাংশ। মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান যথেষ্টই ভীতিপ্রদ। 2024 YR4 নামের এই গ্রহাণুর নাম ‘সিটি কিলার’। নামেই মালুম, আস্ত শহর ধ্বংস করে দিতে পারে এই গ্রহাণু।
জানা যাচ্ছে, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে গ্রহাণুটিকে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে ঠিক এখনই নয়, গ্রহাণুটি সৌরমণ্ডলে প্রবেশ করার কথা ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এটিকে প্রথম আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির মতে, যত সময় যাচ্ছে, ততই ৪০ থেকে ৯০ মিটার চওড়া সেই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর ধাক্কা লাগার আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, সংঘর্ষের সম্ভাবনা ১ শতাংশ। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যেই তা বেড়ে ২ শতাংশ হয়েছে। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা তেমনই দাবি করেছেন। জানা গিয়েছে, মার্চের পর মে মাসেও গ্রহাণুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ২০২৮ সালে গ্রহাণুটি ফের দৃশ্যমান হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে। কিন্তু এবার সেই সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর তাই বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির প্রতি খুঁটিনাটি নজর রাখবেন।