গার্ডরুমের ঘুলঘুলি থেকে ম্যাঙ্গোর কীর্তি রেকর্ড করে শাগরেদরা! কসবা কাণ্ডের চার্জশিটে জানাল পুলিশ

গার্ডরুমের ঘুলঘুলি থেকে ম্যাঙ্গোর কীর্তি রেকর্ড করে শাগরেদরা! কসবা কাণ্ডের চার্জশিটে জানাল পুলিশ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


অর্ণব আইচ: আইন কলেজের গার্ড রুমে নির্যাতিতা ছাত্রীকে বিবস্ত্র হতে বাধ্য করে মনোজিৎ মিশ্র। আর ‘ম‌্যাঙ্গো’দার সেই কুকীর্তির ভিডিও কলেজের গার্ড রুমের এক্সহস্ট ফ‌্যানের ফাঁক থেকে ক্যামেরাবন্দি করে দুই সঙ্গী জায়েব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ‌্যায়। কসবায় আইন কলেজে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মনোজিৎ মিশ্র, দুই ছাত্র জায়েব আহমেদ, প্রমিত মুখোপাধ‌্যায় ও নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দে‌্যাপাধ‌্যায়ের বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে চার্জশিটে এমনটাই জানাল পুলিশ।

সূত্রের খবর, চার্জশিটে পুলিশ তিনজনের মোবাইলে তোলা ভিডিও ফুটেজকে অত‌্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। জানা গিয়েছে, কলেজের গার্ডরুম তথা গণধর্ষণের ঘটনাস্থলের ভিতরের ভিডিও ফুটেজ তোলা হয়। মনোজিৎ, জায়েব ও প্রমিত নিজেদের মোবাইলে আলাদা আলাদাভাবে অল্প অল্প করে ভিডিও ফুটেজ তোলে। এই টুকরো টুকরো ভিডিও ফুটেজগুলি চার্জশিটে গোয়েন্দা পুলিশ তথা ‘সিট’-এর বড় হাতিয়ার। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে যে, ওই ভিডিও দেখিয়ে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ব্ল‌্যাকমেল করে ওই ছাত্রীকে। পুরো ঘটনাটিই পরিকল্পিত। কারণ, মনোজিৎ ইউনিয়ন রুমের দরজা বন্ধ করে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। ওই ঘটনার আগেই জায়েব ও প্রমিত ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। কারণ, তারা জানত যে, মনোজিৎ এরকম কিছু করবে ছাত্রীটির সঙ্গে।

চার্জশিট অনুযায়ী, গার্ডরুমের ভিতর মনোজিৎ মিশ্র নির্যাতিতা ছাত্রীকে বিবস্ত্র হতে বাধ‌্য করে। সেই দৃশ‌্য মনোজিৎ নিজের মোবাইল ক‌্যামেরায় তুলে রাখে। এর পর সে ওই ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে নির্যাতিতাকে বলে, এই ফুটেজ সে সবাইকে পাঠিয়ে দেবে। তাঁর সম্মান বলে কিছু থাকবে না। একমাত্র তিনি মনোজিতের কথামতো শারীরিক চাহিদা মেটালে সে ছাড় দিতে পারে। এর পর নির্যাতিতার আর কিছু করার ছিল না। সে সুযোগ বুঝেই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে।

চার্জশিটে বলা রয়েছে যে, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোজিতের কুকীর্তির ভিডিও জায়েব ও প্রমিত গার্ডরুমের ঘুলঘুলি তথা এক্সহস্ট ফ‌্যানের গর্ত দিয়ে দফায় দফায় তুলে রাখে। নির্যাতিতাকে মনোজিতের হুমকি থেকে শুরু করে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিডিও করে রাখা হয়। বিভিন্ন ভিডিওয় এক্সহস্ট ফ‌্যানের পাখার অংশও দেখা গিয়েছে। ওই ভিডিওগুলি তিনজনই তাদের কয়েকজন সঙ্গীকেও পাঠিয়েছিল। মনোজিৎ, জায়েব ও প্রমিতের তোলা ভিডিওগুলির ফরেনসিক রিপোর্টও পুলিশের হাতে এসেছে। পুলিশের মতে, বিচারপর্বে সেগুলি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই যেতে পারে। এ ছাড়াও চার্জশিটে রয়েছে যে, নির্যাতিতাকে যখন জোর করে গার্ডরুমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা দেখেই রুমটির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ‌্যায়। সে কোনও প্রতিবাদ না করেই ইউনিয়ন রুমের ভিতর গিয়ে বসে। গণর্ধষণের ঘটনার বিষয়টি জানার পরও সে বাইরে বের হয়নি। কলেজের গেটও তালাবন্ধ করে রেখেছিল সে। পুরো একদিন সময় পাওয়ার পরও এই নারকীয় ঘটনাটি সে কলেজ কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ কাউকেই জানায়নি। চার্জশিটে নির্যাতিতার মা ও বাবা অন‌্যতম সাক্ষী বলে জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *