সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গান্ধী পরিবার আমার ঈশ্বর। আর আমি একজন ভক্ত। আমার কথায় কেউ যদি দুঃখ পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। জন্মগত আমি কংগ্রেসম্যান এবং কংগ্রেসম্যান হিসাবেই মরব। আরএসএস-এর প্রার্থনা সঙ্গীত বিতর্কে ক্ষমা চাইলেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমার কথায় যদি কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে এটা আমি কোনও রাজনৈতিক চাপ থেকে করছি না।” তিনি আরও বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে কড়া জবাব দিতেই সেদিন বিধানসভায় আমি আরএসএস-এর প্রার্থনা সঙ্গীত গেয়েছিলাম। সংগঠনটির প্রশংসা করার জন্য নয়।” গান্ধী পরিবার এবং কংগ্রেসের প্রতি তাঁর অটল আনুগত্য পুনর্ব্যক্ত করে শিবকুমার বলেন, “গান্ধী পরিবারকে নিয়ে কারও প্রশ্ন করার অধিকার নেই। আমি জন্মগত একজন কংগ্রেসম্যান এবং কংগ্রেসম্যান হিসাবেই মরব। বিরোধীদের কড়া জবাব দিতেই আমি আরএসএস-এর প্রার্থনা সঙ্গীত গেয়েছিলাম। কিন্তু কেউ কেউ সেটিকে ভুলভাবে উপস্থাপিত করছেন। ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। গান্ধী পরিবার আমার ঈশ্বর। আর আমি একজন ভক্ত।” একইসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্কের কথাও এদিন উথ্থাপন করেন শিবকুমার।
সম্প্রতি কর্নাটক বিধানসভায় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনা প্রসঙ্গেই নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অতীত নিয়ে কথা বলছিলেন শিবকুমার। সেই সময় বিধানসভায় বিরোধী দলের বিধায়ক অশোক তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন একটা সময় আরএসএসেও ছিল তিনি। অকপটে সে কথা স্বীকার করে নেন শিবকুমার। এরপরই বলেন, “হ্যাঁ আমি আরএসএসের সদস্য ছিলাম। এবং আরএসএসের প্রার্থনা সঙ্গীত এখনও আমার মনে রয়েছে।” এরপরই সেই সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে বিজেপি নেতারাও সেই সঙ্গীত গেয়ে ওঠেন। ডেস্ক বাজাতে শুরু করেন। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। তারপরই শুরু হয় জল্পনা।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিদ্রোহ চরম আকার নিয়েছিল দক্ষিণের এই রাজ্যে। দাবি উঠেছিল সিদ্দারামাইয়াকে সরিয়ে শিবকুমারকে দেওয়া হোক এই পদ। পরে হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এই ঘটনার সঙ্গে সেই সূত্র জুড়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তবে কী জল মাপতে শুরু করেছেন শিবকুমার? যদিও পরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই জল্পনায় দাঁড়ি টানেন তিনি। এবার তিনি ক্ষমাও চাইলেন।