সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় সমস্যায় পিসিবি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চায় লাল বলের ক্রিকেটে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আজহার মাহমুদকে ছাঁটাই করতে। তবে, বিরাট অঙ্কের চুক্তির জন্য আপাতত তাঁর বিরুদ্ধে এমন কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছে না পাক বোর্ড। চুক্তি অনুযায়ী, আজাহার মাহমুদকে ছেড়ে দিতে গেলে তাঁকে দিতে হবে ১৩ কোটিরও বেশি টাকা। সেই কারণে তাঁকে টেস্ট দলের অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে যুক্ত করতে বাধ্য হয়েছে পিসিবি।
জানা গিয়েছে প্রাক্তন এই অলরাউন্ডারের কাজে বিরক্ত পিসিবি কর্তারা। অন্যদিকে, পাক দলের নির্বাচক আকিব জাভেদও আজহারের কাজে খুশি নন। তাঁর কোচিং করানোর পদ্ধতি পছন্দ হচ্ছে না তাঁর। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, “আগামী বছরের এপ্রিল-মে পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে আজহারের। সেই কারণেই লাল বলের ক্রিকেটে অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে তাঁকে রেখে দেওয়া হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ। যার পরিমাণ ১ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।”
সেই কারণে এবার কীভাবে তাঁকে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে পিসিবি। অন্যদিকে, বোর্ডের কাজে নাকি একেবারেই সন্তুষ্ট নন আজহার। তাঁর ইচ্ছা, জাতীয় জুনিয়র দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। পিসিবি’র একটা বড় অংশ তাঁর সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে নারাজ। যদিও চুক্তি শেষ না হওয়ায় আজহারকে টেস্ট দলের অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে যুক্ত করতে বাধ্য হয়েছে পিসিবি।
কিছু বছর জাতীয় দলের সহকারী কোচ এবং সিনিয়র দলের সঙ্গে নানান ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও পূর্ববর্তী ম্যানেজমেন্ট আজহার মাহমুদের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাকলাইন মুস্তাক, মিসবা উল হক, ওয়াকার ইউনিস, সরফরাজ আহমেদকে ছাড়ার সময় একই রকম আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পিসিবি’কে। এমনকী প্রাক্তন পাক কোচ জেসন গিলেসপি দাবি করেছিলেন, তাঁর বেতন মেটায়নি পাক বোর্ড। যদিও অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন এই পেসারের দাবি অস্বীকার করে পাক বোর্ড। আর এবার আজহার ইস্যুতে সেই পথে হাঁটতে চাইছে না পিসিবি।