খোদ মোদির গুজরাটেও ভোটচুরি! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জয়ে বিরাট কারচুপির অভিযোগ কংগ্রেসের

খোদ মোদির গুজরাটেও ভোটচুরি! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জয়ে বিরাট কারচুপির অভিযোগ কংগ্রেসের

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্নাটকের পর এবার নরেন্দ্র মোদির গুজরাটেও ভোট চুরির অভিযোগ। শনিবার গুজরাটের কংগ্রেস সভাপতি অমিত চাভড়া অভিযোগ করলেন, নাভসরি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির জয়ের নেপথ্যে রয়েছে বড় অঙ্কের ভোটচুরি। ২০২৪ সালে এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন গুজরাট বিজেপির সভাপতি সিআর পাটিল। কংগ্রেসের অভিযোগের পর তাঁর জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কংগ্রেসের অভিযোগ, এর লোকসভা কেন্দ্রের শুধুমাত্র একটি বিধানসভায় ৩০ হাজার ভুয়ো ভোটারের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। চাভড়া অভিযোগ করেন, কংগ্রেসের দলীয় কর্মীরা ভোটার তালিকা পর্যালচনা করে দেখেছেন গুজরাটের বহু এলাকায় বহু ভোটারের নাম একাধিকবার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে নাভসরি লোকসভা কেন্দ্রে। এখানে প্রার্থী হয়েছিলেন সিআর পাটিল। চাভড়া বলেন, “এই কেন্দ্রের চরিয়াসি বিধানসভায় ব্যাপক অনিয়ম নজরে এসেছে। এখানে মোট ৬,০৯,৫৯২ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার তালিকা পরীক্ষা করার পর দেখা যায় ৩০ হাজার ভোটার ভুয়ো। যদি একটি কেন্দ্রে এত বড় চুরি হয় তাহলে ভেবে দেখুন গোটা রাজ্যে কী বিরাট ভোটচুরি করেছে বিজেপি। গুজরাটে ৫.৬ কোটি ভোটার। আমরা যদি পূর্ণ তালিকা খতিয়ে দেখি তাহলে ৬২ লক্ষের বেশি ভোটচুরি সামনে আসবে।”

কংগ্রেসের অভিযোগ, অত্যন্ত নিপুণভাবে এই চুরি করা হয়েছে। কোথাও ছোট বানান ভুলের মাধ্যমে তো কথাও একাধিক আইডি ব্যবহার করে। কিছু ক্ষেত্রে ঠিকানা পরিবর্তন করে ভোটার তালিকায় বাড়তি নাম যুক্ত করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এটা কোনও ছোট ভুল বলে মনে হলেও এভাবেই গণতন্ত্রকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। গুজরাটের ভোটার তালিকায় এই ধরনের কার্যকলাপ দিনের পর দিন চলছে। সম্পূর্ণ তালিকা খতিয়ে দেখার পর কংগ্রেস নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কাছে এই বিষয়ে প্রমাণ পেশ করবে বলে জানিয়েছে। প্রয়োজনে বড় আন্দোলনের পথে হাঁটারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে খোদ রাহুল গান্ধী কর্নাটকে এই ভোটচুরির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। বিহারে এই ইস্যুতে শুরু হয়েছে ভোটাধিকার যাত্রা। এবার গুজরাটে এই অভিযোগ সামনে আসার পর গুজরাট বিজেপির শীর্ষ নেতা যজ্ঞেশ দাভে বলেন, “কংগ্রেস কোনও প্রমাণ ছাড়াই মিথ্যা প্রচার করছে। ওদের ক্ষমতা থাকলে ওরা হলফনামা দিক। কংগ্রেস কেন তাদের কাছে থাকা সমস্ত নথিপত্র নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিচ্ছে না? রাহুল গান্ধী যখন এই অভিযোগগুলি করেছিলেন, তখন নির্বাচন কমিশনও নথিপত্র চেয়েছিল। তবে, রাহুল কমিশনে কোনও হলফনামা পেশ করেননি। ফলে ওদের অভিযোগকে আমল দেওয়ার কোনও অর্থ নেই।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *