খেতে দেয় না পরিবার, হাতে-পায়ে শিকল বেঁধে রাখে! স্বামী-ছেলে-পুত্রবধূর অত্যাচারে স্বেচ্ছামৃত্যু চাইলেন বৃ্দ্ধা

খেতে দেয় না পরিবার, হাতে-পায়ে শিকল বেঁধে রাখে! স্বামী-ছেলে-পুত্রবধূর অত্যাচারে স্বেচ্ছামৃত্যু চাইলেন বৃ্দ্ধা

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: স্বামী, ছেলে ও বউমার বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে প্রশাসনের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা পাথরপ্রতিমার রাধাকৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের কাছে তিনি সম্প্রতি আবেদন করেছেন, তাঁকে যেন স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হয়।

বৃদ্ধা জয়ন্তী দাসের দাবি, স্বামী, ছেলে ও পুত্রবধূ দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করছেন। বৃদ্ধার অভিযোগ, কখনও তাঁর পায়ে শিকল বেঁধে রাখা, কখনও মারধর করা হচ্ছিল তাঁকে। ভাল করে খেতেও দেওয়া হত না তাঁকে। পঞ্চায়েত, পুলিশকে অভিযোগ করেও কিছু হয়নি বরং বাড়িতে তাঁর উপর অত্যাচার বাড়ে। একরকম নিরুপায় হয়েই বাড়ি থেকে চলে এসে এখন তিনি তাঁর বিবাহিত মেয়ে সুপ্রিয়া দাসের কাছে কাকদ্বীপে থাকেন। গত বুধবার কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে গেলে তাঁকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। মেয়ের বাড়িতে এসেও তারা মারধর ও অত্যাচার করে বলে অভিযোগ বৃদ্ধার।

বৃদ্ধার উদ্বেগ, মেয়ের কাছে এভাবে কতদিন আর থাকা যায়! বাড়ি ফিরলেই আবার অত্যাচার হতে পারে এই আশঙ্কাতেও ভুগছেন তিনি। তিনি অভিযোগে লেখেন, “আমার থাকার কোনও জায়গা নেই।” জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি ওই বৃদ্ধা এমন কঠিন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শান্তিতে মরতে চান বলে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কাকদ্বীপের মহকুমাশাসকের কাছে সম্প্রতি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানান তিনি। স্বামী, ছেলে ও বৌমার অত্যাচারের অভিযোগ করে আবেদনে তিনি লেখেন, “আমি মরে শান্তি পেতে চাই, অনুমতি দিন, আবেদন মঞ্জুর করুন।” কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক মধুসূদন মণ্ডল বলেন, “বৃদ্ধার অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই কাকদ্বীপ ও পাথরপ্রতিমা থানার আধিকারিকদের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *