সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামপুরহাট ছাত্রী খুনের পরতে পরতে রহস্য। পুলিশের দাবি, ধৃত শিক্ষক জেরায় স্বীকার করেছে, আদিবাসী ছাত্রীকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে খুন করে সে। তারপর গলা ফুটো করে শরীরের সব রক্ত বের করে দেয়। এরপর হাঁসুয়া দিয়ে দেহ তিন টুকরো করে। সূত্রের খবর, থ্রিলার ছবি দেখে দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করে ধৃত। খুনের ৯ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল পুলিশ।
গত কয়েকদিন ধরেই রামপুরহাটে মেলে আদিবাসী ছাত্রীর পচাগলা দেহ। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ছাত্রীর সঙ্গে ঠিক কী করেছিল ধৃত মনোজ পাল? সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে নিজের বাইকে করে প্রথমে তারাপীঠ, পরে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় সে। যদিও পুলিশের কাছে মনোজ পাল জানিয়েছেন, ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেনি। তবে পুলিশ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে। পুলিশের দাবি, ২৮ আগস্ট রাতে ছাত্রীটিকে নিজের ঘরে রেখে আকণ্ঠ মদ্যপান করে ঘুমিয়ে পড়ে মনোজ। সুযোগ বুঝে ছাত্রীটি পালাতে গেলে জেগে যায় শিক্ষক। তখনই তাকে ধরে জোর করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে দেয়। দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে রাখে। তদন্তকারীদের দাবি, ২৯ আগস্ট বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে গলা টিপে খুন করে শিক্ষক। তারপর গলা ফুটো করে শরীরের সব রক্ত বের করে দেয়। হাঁসুয়া দিয়ে ছাত্রীর হাত দুটি কাটে সে। পরে দেহটি তিন টুকরো করে।
পুলিশী তদন্তে উঠে এসেছে পদার্থবিদ্যার শিক্ষক হলেও রসায়ন, এমনকী মেডিক্যালের বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান মনোজের। কারণ, খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য কোন রাসায়নিক ব্যবহার করলে তা পরীক্ষাগারে ধরা পড়বে না, তা জানা ছিল তার। সেই রাসায়নিক দিয়েই বাথরুম পরিষ্কার করে মনোজ। জানা গিয়েছে, পুলিশ হেফাজতে অত্যন্ত নির্লিপ্ত ধৃত মনোজ। দিনভর ধ্যানে মগ্ন সে। তার এই আচরণে হতবাক পুলিশ আধিকারিকরা।