খুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চান? স্কুলে পাঠানোর আগে এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না

খুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চান? স্কুলে পাঠানোর আগে এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনের এখন অনেক বেশি গতিময়। সন্তানদের কেরিয়ার নিয়ে অনেক বেশি চিন্তাভাবনা করেন অভিভাবকরা। খুব ছোট বয়স থেকেই ইঁদুরদৌড়ে শামিল করা হয় তাদের। বছর দেড়েক বয়স হতে না হতেই খুদেকে স্কুলে পাঠানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন বাবা-মায়েরা। তবে তাতে যে শিশুর সমস্যা হয় তা নয়। বরং বাড়ি ছেড়ে আলাদা পরিবেশে গিয়ে দিব্যি বেড়ে ওঠার শিক্ষা পায় তারা। আবার খেলার মাধ্যমে নানা রকমের নতুন নতুন শিক্ষা পেয়ে বেড়ে উঠতে থাকে শিশুরা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্কুলে পাঠানোর আগে বাবা-মায়েদের সকালের রুটিনে কিছু বদল আনতে হবে। এই কাজগুলি করলে একটি শিশু স্কুলে গিয়ে মনোনিবেশ করতে পারবে না। তার ফলে স্কুল পাঠানোই সার হবে। নতুন নতুন জ্ঞানার্জন দূর অস্ত। তাই একনজরে দেখে নেওয়া যাক সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর আগে কোন কাজগুলি ভুলেও করবেন না।

১. বাচ্চাকে জোর করে, চিৎকার চেঁচামেচি করে ঘুম থেকে তুলবেন না। হাসি মুখে ঘুম থেকে তুলুন। বুকে জড়িয়ে ধরুন। কপালে চুমু দিন।

২. খুদেকে বাড়ি থেকে বের করার ঘণ্টাখানেক আগে ঘুম থেকে তুলুন। খুদেকে ঘুমঘোর কাটাতে কিছুটা সময় দিন।

৩. প্রাতঃরাশ না করিয়ে সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন না। দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছে বলে না খাইয়ে কিংবা তাড়াহুড়ো করে স্কুলে পাঠাবেন না।

৪. স্কুলে যাওয়ার আগে আপনার সন্তানের আচরণের দিকে নজর রাখুন। তার আবেগের গুরুত্ব দিন। কী বলতে চাইছে, ভালো করে শুনুন। সবসময় নিজের মতামত খুদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবেন না।

৫. শিশুর ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন বইখাতা, টিফিন বক্স, জলের বোতল দিতে ভুলবেন না।

৬. কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে আর কোনটা নয়, তা বোঝার ক্ষমতা তার নেই। তাই একজনের অভিভাবকের দায়িত্ব তাকে সুপথে এগিয়ে নিয়ে চলা। তা বলে তার ঘাড়ে নিয়মাবলির বোঝা চাপিয়ে দেবেন না। বিশেষত স্কুল যাওয়ার আগে এই বিষয়ে বেশি কিছু না বলাই ভালো।

৭. সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর আগে আত্মবিশ্বাসের জোগান দিন। তাকে বলুন, “আমি জানি তুমি সব পারবে।” আপনি শিশুকে ঠিক কতটা ভরসা করেন, তা আপনার আচরণে যেন প্রকাশ পায়। তা বোঝান।

৮. স্কুলে পাঠানোর আগে কখনও নেতিবাচক কোনও কথা বলবেন না। তাতে সন্তান মনমরা হয়ে যেতে পারে।

৯. আপনার সন্তান স্কুলবাস বা পুলকারে যাক কিংবা নিজেই তাকে স্কুলের গেটে ছেড়ে আসুন না কেন, ভালোভাবে বিদায় জানান। শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে তাকে স্কুলে ঢুকিয়ে দেবেন না। তার ফলে স্কুলে ঢোকার মুখেই তার মুড অফ হয়ে যেতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *