সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদের দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১ বিমানের ব্ল্যাক বক্সও! আদৌ ওই ব্ল্যাক বক্স থেকে কোনও তথ্য উদ্ধার করা যাবে কিনা, সেটা নিয়েই তৈরি হল সংশয়। এমনটাই খবর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। শোনা যাচ্ছে, ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধারে সেটিকে আমেরিকায় পাঠানো হতে পারে।
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১-এর ‘ব্ল্যাক বক্স’-এ। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে এখন নজর সেটির দিকেই। দুর্ঘটনার একদিন পরে বিমানটির একটি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় দুর্ঘটনার তিন দিন পর। শুক্রবার যে হস্টেলের ছাদে বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেখান থেকে প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় ধ্বংসস্তুপের নিচে। দুটি ব্ল্যাকবক্সই পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডিজিসিএর কাছে।
কিন্তু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় দুটি ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে একটি ভালোমতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় প্রযুক্তিতে ওই ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না। সেটিকে সম্ভবত আমেরিকায় পাঠাতে হবে। ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড ওই ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করবে। সঙ্গে ভারতীয় আধিকারিকরাও যাবেন আমেরিকায়।
বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই ‘ব্ল্যাক বক্স’? সব প্লেনেই দু’রকমের ব্ল্যাক বক্স রাখা থাকে। এটাই নিয়ম। একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। অপরটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, কোনদিকে যাচ্ছিল বিমান, কত স্পিড ছিল এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভিতরের সব ঘটনা। যাতে জলে কিংবা আগুনের গ্রাসে পড়লেও নষ্ট না হয় তথ্য। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা হয় ব্ল্যাক বক্সে। কিন্তু এত সুরক্ষা ব্যবস্থার পরও আহমেদাবাদের বিমানটির ব্ল্যাক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হল।