ক্লাসে দুষ্টুমি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের, বেধড়ক পিটিয়ে দেওয়ালে মাথা ঠুকে ‘শাস্তি’ দিলেন স্যর!

ক্লাসে দুষ্টুমি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের, বেধড়ক পিটিয়ে দেওয়ালে মাথা ঠুকে ‘শাস্তি’ দিলেন স্যর!

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ক্লাস চলাকালীন কথা বলছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। দুষ্টুমি করার অপরাধে তাকে ‘শাস্তি’ দিলেন শিক্ষক। বেধড়ক মারধর করা হয় ওই খুদেকে। দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেওয়া হয়। চড়থাপ্পরে গালে দাগ বসে যায়। পরে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে যায়। নারকীয় ওই ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ গাইঘাটা এলাকায়। অভিযোগ, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল ছাত্রের পরিবার। স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে ওই ছাত্রের পরিবার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।  

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি দু’দিন আগের। গাইঘাটা থানার কাহনকিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্র ক্লাসে দুষ্টুমির করছিল। মেজাজ হারিয়ে তাকে ডাকেন শিক্ষক অশোককুমার বিশ্বাস। তারপরই শুরু হয় শাস্তির নামে মারধর। বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। একের পর থাপ্পরে তার গালে মোটা দাগ বসে যায়। এখানেই শেষ নয়। স্কুল শেষের পর ওই খুদেকে আটকে রাখা হয়। পরে বাড়ি যাওয়ার জন্য তাকে ছেড়ে দেন ওই শিক্ষক। বাড়ি ফিরে প্রথমে সে কিছুই জানায়নি। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তার দেখানো হয়।

বাড়ির লোকের কাছে শেষপর্যন্ত সে সব কথা জানায়। পরিবারের লোকজন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ বালাকে বিষয়টি জানান। কিন্তু তিনি কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই অভিযোগ। আজ শুক্রবার গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই খুদের বাবা-মা। বিডিও নীলাদ্রি সরকার বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে।” ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ বালা বলেন , “যেদিন ঘটনাটি ঘটে, সে সময় আমি জানতাম না। রাতে স্কুলের অন্য শিক্ষকরা আমাকে বিষয়টি জানান। ঘটনার পর থেকে সহ-শিক্ষক অশোকবাবু আর স্কুলে আসেনি।”

ছাত্রের বাবা গৌতম দাস বলেন, “আমার ছেলেকে যেভাবে মেরেছে আমি তার বিচার চাই। স্কুলে জানিয়েও কোনও বিচার মেলেনি। তাই আমি ব্লক অফিসে অভিযোগ জানিয়েছি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *