সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের মাঠে দ্বিমুকুট জয়ের লক্ষ্যে নামছে মোহনবাগান। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সেই ম্যাচ ঘিরে ফুটছে কলকাতা। কিন্তু সেই হাইভোল্টেজ ম্যাচে থাকবেন না রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, আইএসএলের আয়োজক এফএসডিএল বা মোহনবাগান-কেউই তাঁকে আমন্ত্রণ জানায়নি। সেই বিষয়টি নিয়ে অখুশি মোহনবাগানের সহসভাপতি কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ক্লাবের তরফে অবশ্যই ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল।
শনিবার বিকেলে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে নামছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। খেতাবি লড়াইয়ের কয়েকঘণ্টা আগেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন কুণাল। সেখানে লেখেন, ‘যুবভারতীতে আজ ফুটবলের মহাযজ্ঞ। এফএসডিএল রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ করেনি। এটা রাজনৈতিক কারণে, এআইএফএফের বিজেপি সভাপতি কল্যাণ চৌবের অঙ্গুলি হেলনে। বাংলার বুকে ফাইনাল, কেন ক্রীড়ামন্ত্রীকে বলা হবে না?’
মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তের দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আরেকটি আক্ষেপ, খেলবে ভারতসেরা মোহনবাগান, তাদের তরফেও ক্রীড়ামন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ করা হয়নি। ফলে তিনি মাঠে যাচ্ছেন না। ক্লাব সহসভাপতি হিসেবে এই খবর পেয়ে খারাপ লেগেছে, মন্ত্রীকে দুঃখপ্রকাশ করেছি। ঘরোয়া ফোন আর আনুষ্ঠানিক সসম্মান আমন্ত্রণ এক নয় বুঝি। মন্ত্রীর পদমর্যাদায় তো নয়ই। তাঁর সিদ্ধান্তবদল হচ্ছে না। সচিবকে জানাচ্ছি। এই আনুষ্ঠানিক সৌজন্যটা ক্লাবের দেখানো উচিত ছিল। যাঁরা আমন্ত্রণ বা টিকিটের বিষয়টি দেখছিলেন, একটা ফাঁক থেকে গিয়েছে।’
যুবভারতীতে আজ ফুটবলের মহাযজ্ঞ।
এফএসডিএল রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ করেনি। এটা রাজনৈতিক কারণে, এআইএফএফের বিজেপি সভাপতি কল্যাণ চৌবের অঙ্গুলি হেলনে। বাংলার বুকে ফাইনাল, কেন ক্রীড়ামন্ত্রীকে বলা হবে না?
আরেকটি আক্ষেপ, খেলবে ভারতসেরা মোহনবাগান, তাদের তরফেও…— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 12, 2025
উল্লেখ্য, যুবভারতীতে বড় কোনও খেলা হলে সাধারণত রাজ্যের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়। অতীতে একাধিকবার সেই নজির দেখা গিয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। ডুরান্ড কাপের উদ্বোধনেও আমন্ত্রণ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেও অতীতে বহু খেলায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু দেশের সেরা টুর্নামেন্টের ফাইনালেই তাঁকে ডাকা হল না? প্রসঙ্গত, যুবভারতীতেই কয়েকদিন আগে লিগ শিল্ড জিতেছিল সবুজ-মেরুন। সেদিনও পুরস্কার প্রদান মঞ্চে ব্রাত্য ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। কেন তাঁকে আইএসএল কাপের ফাইনালে আমন্ত্রণ করা হল না, সেই নিয়ে উঠছে রাজনৈতিক প্রশ্নও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন