স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে ক্রীড়ামন্ত্রীর চাপে লিগের ম্যাচে ভূমিপুত্রের উপস্থিতি বাড়াতে বাধ্য হল আইএফএ। পাঁচজন নয়, এবার থেকে ক্লাবগুলিকে ম্যাচে ছ’জন ভূমিপুত্রকে রাখতেই হবে মাঠে।
কয়েকদিন আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছেল, ম্যাচে পাঁচজন ভূমিপুত্রকে মাঠে রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে। তারপরেই রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আইএফএ-র সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, কলকাতা লিগ বাংলার লিগ। এখানে বাঙালি ফুটবলারদের প্রাধান্য পাওয়া উচিত। কলকাতা লিগ শুধুমাত্র ভূমিপুত্র ফুটবলারদের নিয়ে খেলা উচিত। কন্যাশ্রী কাপের ফাইনালের দিন পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ থেকে এই বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই ক্রীড়াদপ্তর থেকে একটি চিঠির মারফৎ আইএফএ-তে অনুরোধ আসে। সেই অনুরোধের পর শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আইএফএ কর্তারা। সেখানেই ভূমিপুত্র বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান ক্লাব উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না মোহনবাগান ক্লাবের সদস্য। প্রতিনিধি পাঠায়নি সাদার্ন সমিতিও। উপস্থিত ছিলেন না আইএফএ-র দুই সহ-সভাপতি সৌরভ পাল ও স্বরূপ বিশ্বাস। কিছুদিন আগেই সাদার্ন চিঠি দিয়ে এই মরশুমের লিগের লটারির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এদিন সভায় ক্রীড়ামন্ত্রীর অনুরোধ নিয়ে ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনার বেশ কিছু ক্লাব ভূমিপুত্র বাড়ানোর বিষয়ে রাজী থাকেন। কিছু ক্লাব এই মুহূর্তে লিগের ঠিক আগে দল তৈরি করে ফেলেছেন, এই বলে ছ’জনের বেশি ভূমিপুত্র না করতে অনুরোধ করে। ভূমিপুত্র বাড়ানোর বিষয়ে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “ক্রীড়া দপ্তরের থেকে চিঠি দিয়ে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছিল ভূমিপুত্র বাড়ানোর। আমরা সেই অনুরোধ রাখতেই বৈঠকে বসেছিলাম। সেখানে আলোচনার মাধ্যেমে লিগের ম্যাচে পাঁচের বদলে ছয় ভূমিপুত্র মাঠে রাখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।”
অন্যদিকে, আইএফএ-কে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা দশ লক্ষ টাকা নিয়েও অ্যাফিলিয়েশন না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। আইএফএ সচিব জানিয়েছেন, বিষয়টি ঠিক নয়। গভর্নিং বডির অনুমোদনের পর অ্যাফিলেয়েশন দেওয়া হয়েছে উক্ত ইউনিভার্সিটিকে। তাদের এই বিষয়ে আইএফএ পালটা চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সচিব।