সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে রান পাননি কোহলি। মাত্র ১ রানে রানে আউট হন তিনি। সেই সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য ঘটে উত্তরপ্রদেশের কিশোরী প্রিয়াংশী পাণ্ডের। সঙ্গে সঙ্গে রটে যায়, কোহলির আউটের শোক সামলাতে না পেরে মৃত্যু ঘটে ওই কিশোরীর।
পরিবারের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল দেখছিল দেওরিয়ার বাসিন্দা প্রিয়াংশী। তার বাবা অজয় পাণ্ডে পেশায় উকিল। জানা যাচ্ছে, উৎসাহের সঙ্গে ভারতীয় দলের ব্যাটিং দেখছিল সে। কোহলি যখন এক রানে আউট হন, তখন রীতিমতো শোকাহত হয় ওই কিশোরী। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান হারায় সে। অজয় পাণ্ডে তখন বাড়িতে ছিলেন না। তাঁকে ফোন করে ডাকা হয়। তিনি ফিরতেই প্রিয়াংশীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দ্রুত চিকিৎসা সত্ত্বেও তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
তারপরই রটে যায় যে, কোহলির আউটের শোক সহ্য না করতে পেরে মৃত্যু ঘটে প্রিয়াংশীর। যদিও অজয় পাণ্ডের দাবি, তাঁর মেয়ের মৃত্যর সঙ্গে কোহলির আউটের কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে তাঁদের প্রতিবেশী অমিত চন্দ্র দাবি করছেন, ওই সময় ভারতীয় দলের অবস্থা খারাপ ছিল না। তিনি গোটা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করছেন। তাঁর বক্তব্য, ওই সময় ভারতের কোনও উইকেটই পড়েনি। ফলে কোহলির ইনিংস তখন হিসেব মতো শুরুই হয়নি।
প্রিয়াংশীর পরিবারের তরফ থেকে কোনও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। হাসপাতাল থেকে ফিরে তার অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রিয়াংশীর মৃত্যর সঙ্গে কোহলির আউটের যোগাযোগ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় রটনা রটলেও, তা একপ্রকার অস্বীকার করছেন অজয় পাণ্ডে।