‘কোন মামলা বিরলের মধ্যে বিরলতম, আদালতের উচিত লিখিত নথি দেওয়া’, বলছেন নির্ভয়ার বাবা

‘কোন মামলা বিরলের মধ্যে বিরলতম, আদালতের উচিত লিখিত নথি দেওয়া’, বলছেন নির্ভয়ার বাবা

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আর জি কর কাণ্ড বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়। এই যুক্তিতেই দোষী সঞ্জয় রায়কে ফাঁসির বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল শিয়ালদহ আদালত। আর ঠিক এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তুললেন দিল্লির নির্যাতিতা ‘নির্ভয়া’র বাবা বদ্রীনাথ সিং। তাঁর কথায়, “কোন মামলা বিরলের মধ্যে বিরলতম সেটা কীভাবে ঠিক হবে! কোন মামলাগুলি এই শ্রেণিতে গণ্য হবে, আদালতের উচিত তার লিখিত নথি দেওয়া, শুধু মৌখিকভাবে নয়।” পাশাপাশি সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

দিল্লির ‘নির্ভয়া’ কাণ্ডকে বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। দোষীদের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে হাসপাতালের মধ্যে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসেবে চিহ্নিত করতে রাজি নয় নিম্ন আদালত। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্ভয়ার বাবা। ক্ষুব্ধ বদ্রীনাথ সিং বলছেন, “আসলে সমাজের জন্য নয়, এই ধরনের বিচারকরা আসনে বসে থাকেন নিজেদের জন্য। নিজেদের পরিবার ও সমাজের বড় বড় লোকদের জন্য। আসলে ওঁদের নিজেদের বা নিজেদের পরিবারের সঙ্গে তো এই ঘটনাগুলো হয় না। যাদের উপর হয়, তারা বোঝে।”

সিবিআই তদন্ত নিয়েও সন্দিহান ‘নির্ভয়া’র বাবা। একইসঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, বিচারকই বা কী করবেন, ওঁর সামনে যে নথি-প্রমাণ রাখা হয়, তার ভিত্তিতেই তো রায়দান হয়। বলেন, “সিবিআই কী তদন্ত করল, কী তথ্য দিয়েছে তা তো বাকিরা জানে না, যদি আদালত বলে তেমন তথ্য নেই, কে কী বলতে পারে? আসলে মনে রাখতে হবে সিবিআইও তো পুলিশই। ওদের মাথার উপরও তো কেউ বসে আছে। উপর থেকে যে নির্দেশ আসে, নিচুতলাকে তো তা মেনেই কাজ করতে হয়।”

তবে সঞ্জয়ের ‘লঘু’ শাস্তি নিয়ে চিন্তিত বদ্রীনাথ সিং। বলছেন, “যা হল, ভালো হল না। এই রায়ের ফলে সমাজ সুরক্ষিত থাকল না। যে ডাক্তাররা আন্দোলন করেছিলেন, তারা সুরক্ষিত থাকতে পারবে?” 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *