কোন মন্ত্রে টানা দ্বিতীয়বার লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান? রইল পাঁচ কারণ

কোন মন্ত্রে টানা দ্বিতীয়বার লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান? রইল পাঁচ কারণ

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা দ্বিতীয়বার লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। মরশুমের শুরুর দিকের বাধাবিপত্তি পেরিয়ে ভারতসেরার তকমা। তাও সেটা ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই। সঙ্গে জুড়ে নেওয়া যাক ইস্টবেঙ্গল-মহামেডান, দুই দলের বিরুদ্ধেই সবকটি ডার্বিজয়। কীভাবে দেশের সব প্রান্তে সবুজ-মেরুন পতাকা ওড়াল মোলিনার দল? কোন মন্ত্রে সাফল্যের জয়ধ্বজা ওড়াল মোহনবাগান? রইল পাঁচ কারণ।

দুর্ভেদ্য রক্ষণ: মরশুমের শুরুর তিন ম্যাচে মোহনবাগান হজম করেছিল ৭ গোল। আর সেখান থেকে বাকি ১৯ ম্যাচে সবুজ-মেরুনের জালে ঢুকেছে মাত্র ৭ গোল। আলবার্তো রদ্রিগেজ, টম অলড্রেড, শুভাশিসরা দুর্ভেদ্য রক্ষণ গড়ে তুলেছেন। নতুন তারকা হিসেবে উঠে এসেছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। সেটাই পার্থক্য গড়ে দিল বাকি দলগুলোর সঙ্গে।

কাইথের ‘বিশাল’ দস্তানা: মোহনবাগান রক্ষণের শেষ প্রহরী বিশাল প্রয়োজনে আরও ‘বিশাল’ হয়ে উঠেছেন। বহু ম্যাচে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। ১৪টা ম্যাচে ক্লিনশিট, অর্থাৎ কোনও গোল খাননি। আইএসএলে ৫০টির বেশি ক্লিনশিট রয়েছে বিশাল কাইথের। যা আর কোনও গোলকিপারের নেই।

টিম গেম: মোলিনা বারবার জোর দিয়েছেন দলগত সংহতিতে। দল হারুক বা জিতুক, কোনও রকম সমস্যার কথা শোনা যায়নি। মোলিনার মতে, সবাই যেমন গোল করবে, তেমনই ডিফেন্স করতে হবে সকলকে। তাই জেমি ম্যাকলারেনদের পাশাপাশি গোল করেছেন শুভাশিস বোস, আলবার্তোরা।

মোলিনার মগজাস্ত্র: প্রথম তিন ম্যাচে প্রত্যাশিত ফলা না আসায় অনেক সবুজ-মেরুন ভক্তই হতাশ হয়েছিলেন। সেখান থেকে মহামেডানকে তিন গোলে হারিয়ে প্রত্যাবর্তনের শুরু। যেখানে সাইড লাইন থেকে মোলিনার মগজাস্ত্র বহু ম্যাচে খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছেন। চেন্নাই ম্যাচে স্টুয়ার্টের বদলির ঘটনা একটা উদাহরণ। আবার কামিংসকে ‘নম্বর ১০’ হিসেবে চমকে দিয়েছেন। দীপেন্দুর থেকে সেরা খেলাটা বের করে নিয়ে এসেছেন।

ম্যানেজমেন্টের ভরসা: শুধু মাঠের মধ্যে নয়, মোহনবাগানের সাফল্যের চাবিকাঠি রয়েছে মাঠের বাইরেও। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রথমেই, মোলিনার হাতে শক্তিশালী দল তুলে দিয়েছে। আবার কখনই দলের কাজে হস্তক্ষেপ করেনি। স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছেন মোলিনাকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *