সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের কাছে গিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি! ‘অপদস্থ’ হতে হয়েছে। তাই কাজল শেখের ‘দুয়ারে’ কেষ্ট অনুগামী বলে পরিচিত বনগ্রামের তৃণমূলের উপ-প্রধান থেকে স্থানীয় নেতৃত্ব, কর্মীরা। এদিন শান্তিনিকেতনে বনডাঙা কার্যালয়ে কাজলের সঙ্গে দেখা করলেন তাঁরা। সেখানেই জানান, তাঁরা কাজলের নেতৃত্বে দলের হয়ে কাজ করতে চান।
বনগ্রাম অঞ্চলে কয়েকমাস ধরে পঞ্চায়েতের সাংগাঠনিক ও প্রশাসনিক কাজে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, সেই সমস্যা নিয়ে বীরভূমের কোর কমিটির সদস্য অনুব্রতের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি, উলটে অপদস্থ হয়েছেন। সেই সমস্যাগুলির সুরাহার জন্য তাঁরা আজ, বুধবার জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের দারস্থ হলেন।
বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তুষারকান্তি মণ্ডল বলেন, “আমার অনুব্রত অনুগামী ঠিকই। কেষ্টদাকে এখনও ভালোবাসি। কিন্তু বনগ্রাম অঞ্চলের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে কেষ্টদার কাছে গিয়েও সুরাহা পাইনি, অপদস্থ হয়েছি। তাই আমরা পঞ্চায়েতের সদস্য, সমিতির সদস্য, সক্রিয় কর্মীরা ঠিক করেছি কাজলদার নেতৃত্বে দলের হয়ে কাজ করব।” তাহলে কী নেতৃত্বের অভাবে এই সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা? উপপ্রধান বলেন, “দেখুন কেউই দলের ঊর্ধে নন, আমরা মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দল করি। অনুব্রত দা কোর কমিটির সদস্য হওয়ার পর ওর কাছে গিয়ে কোনও সুরাহা পায়নি। তাই ঠিক করেছি, কাজল শেখের নেতৃত্বে কাজ করব।” আরও এক তৃণমূল নেতা বলেন, “প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক কাজ সুস্থভাবে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই কোর কমিটির অন্যতম সদস্য কাজলবাবুর কাছে আমরা এসেছি। অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী ছিলাম, তাঁকে ছেড়ে এসেছি এমনটা নয়। কোর কমিটির পাশে আছি। তবে কিছু সমস্যা ছিল, তা অনুব্রত মণ্ডলকে বলার পরও মিটছিল না। কাজলবাবুর নেতৃত্বে কাজ করব।”
যে কাজল শেখকে নিয়ে এত হইচই। তিনি বিষয়টিকে নেতৃত্বের বদল বলে না মেনে নিজেকেই দলের কর্মী বলে দাবি করে বলেন, “আমি দলের কর্মী। দল দায়িত্ব দিয়েছে কাজ করছি। কে করল না, সেটা আমি বলতে পারব না। সেটা তাঁর ব্যাপার। আমি করছি লোক আমার কাছে আসছেন।” বনগ্রাম অঞ্চলের নেতাদের তাঁর যাওয়াকে ‘নতুন ঘটনা’ বলতে নারাজ কাজল। তিনি বলেন, “প্রতিদিন আমার সঙ্গে অনেক লোক দেখা করতে আসেন। বনগ্রাম অঞ্চলের নেতৃত্ব এসেছিলেন। কিছু সমস্যা নিয়ে কথা হয়েছে। সুরাহা করা হবে।”