কেকেআরকে বাঁচাল রিঙ্কুর হাত! ‘ব্যাটিংয়ের থেকে ফিল্ডিং ভালো’, নাইট তারকার মুখে চওড়া হাসি

কেকেআরকে বাঁচাল রিঙ্কুর হাত! ‘ব্যাটিংয়ের থেকে ফিল্ডিং ভালো’, নাইট তারকার মুখে চওড়া হাসি

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের বিরুদ্ধে কেকেআরকে জেতাল কে? রাহানের স্থিতধী ইনিংস, শেষবেলায় রাসেলের ‘মাসল পাওয়ার’, নাকি হর্ষিত-বরুণের বোলিং? এগুলো তো আছেই। কিন্তু ‘আসল’ নায়ক কিন্তু রিঙ্কু সিংয়ের হাত। কীভাবে? ম্যাচের একেবারে শেষ ওভারে একটা চার বাঁচিয়ে। আর কেকেআর জিতল মাত্র ১ রানে। ওটা চার হয়ে গেলে কিন্তু ওখানেই ম্যাচ হেরে যেত নাইটরা। কার্যত ছুটি হয়ে যেত প্লে অফের লড়াই থেকে।

ধোনিকে নিয়ে একটা গল্প প্রচলিত। ‘এমএস ধোনি’ সিনেমাতেও আছে সেই কাহিনি। যেখানে তিনি বলেছিলেন, একজন ব্যাটার বা বোলার সব ম্যাচ জেতাবে না। কিন্তু ভালো ফিল্ডার প্রতি ম্যাচে রান বাঁচাবে। রিঙ্কুর ফর্ম নেই, ফর্ম নেই, বলে এত ঢক্কানিনাদ। এদিনের ইডেন কিন্তু ব্যাট হাতে রিঙ্কুর প্রত্যাবর্তন দেখল। যদিও দিনের শেষে ব্যাটার রিঙ্কু নয়, নায়কের হাততালি বরাদ্দ ফিল্ডার রিঙ্কুর জন্য।

ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ২২ রান দরকার ছিল রাজস্থানের। কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন। প্রথম দুই বলে আসে মাত্র তিন রান। সেখানেও রিঙ্কুর ‘হাত’। বৈভব অরোরার প্রথম বলটাই ডিপ কভারের দিকে হাঁকিয়েছিলেন আর্চার। অনেকটা ছুটে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন রিঙ্কু। কোনও রকমে চার বাঁচালেন। সেটা বাউন্ডারি পার হয়ে গেলে নাইটদের চাপ অনেক বাড়ত। ম্যাচ তখন প্রায় হাতের মুঠোয় নাইটদের। সেখান থেকে পরের তিন বলের স্কোরকার্ড- ৬,৪,৬। শেষ বলে দরকার ৩ রান। ইয়র্কার করলেন বৈভব। লং অফ থেকে চিতার গতিতে ছুটে এলেন রিঙ্কু। মুহূর্তের মধ্যে বল তুলে ছুড়ে দিলেন বৈভবের হাতে। একেবারে নির্ভুল থ্রো। বৈভব উইকেট ভেঙে দিতেই জয় পেল কেকেআর।

ম্যাচের পর রিঙ্কু বললেন, “ইডেনের আউটফিল্ড কতটা গতিশীল, সেটা তো সবাই জানে। আমি সাধারণত বাইরের দিকেই ফিল্ডিং করি। ফলে মাঠ সামলানো আমার দায়িত্ব। আর সেটা করতে আমার বেশ মজা লাগে। সত্যি কথা বলতে আমার তো ব্যাটিংয়ের থেকে ফিল্ডিং করতে বেশি ভালো লাগে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *