শেখর চন্দ্র, আসানসোল: রাতের অন্ধকারে শুটআউটে আসানসোলের কুলটিতে পুরকর্মী খুনের নেপথ্যে সম্পত্তি বিবাদ? দাদা এবং বোন ও তার স্বামীর মধ্যে সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে এই খুন বলেই দাবি নিহতের পরিবারের লোকজনের। নিয়ামতপুর ফাঁড়ি থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে শুটআউটের ঘটনায় স্বাভাবিক জোর শোরগোল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত জাভেদ বারিক আসানসোল পুরনিগমের কুলটি বরো অফিসের অস্থায়ী কর্মী। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মোটর বাইকে দুই দুষ্কৃতী আসে। খুব কাছ থেকে জাভেদ বারিককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। মাথা লক্ষ্য করে ১ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। রাতেই হাসপাতালে জাভেদের মৃত্যু ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। ঘটনাস্থলে এক রাউন্ড গুলির খোল পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দাবি, সেভেন এমএম পিস্তল দিয়ে গুলি চালানো হয়। পরিবার সূত্রে খবর, নিহত জাভেদের বাবা আবদুল বারিক ছিলেন স্কুলশিক্ষক। কর্মসূত্রে বারিক পরিবার নিয়ামতপুরে আসে। তাঁদের আদি বাড়ি জলপাইগুড়িতে। জাভেদের বাবার কিছু সম্পত্তি রয়েছে সেখানে। সেই সম্পত্তি দখল হয়ে যায়। নকল কাগজপত্র তৈরি করে জাভেদের বোন এবং তার স্বামী ওই সম্পত্তি দখল করে নেয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে গত ৯-১০ মাস যাবৎ জাভেদের কলকাতা এবং জলপাইগুড়িতে যাতায়াত লেগেই ছিল।
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় প্রায়দিনই ঝগড়াঝাটি, হাতাহাতি লেগেই থাকত। জাভেদের পরিবারের আরও অভিযোগ, নিয়ামতপুরে এসেও জাভেদের বাড়িতে দু’বার বোন হামলা চালায়। জাভেদকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে শুটআউটের ঘটনার পর বোন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন জাভেদের পরিজনেরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ নিষিদ্ধপল্লি থেকে ৩ জনকে আটক করে। এই ঘটনার পর থেকেই স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন তাঁরা।