কুম্ভ থেকে সচেষ্টায় বাড়ি ফিরলেন জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের দুই, স্বস্তি পরিবারের

কুম্ভ থেকে সচেষ্টায় বাড়ি ফিরলেন জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের দুই, স্বস্তি পরিবারের

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


রাজ কুমার ও শান্তনু কর, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি: নিজেই বাড়ি ফিরে এলেন প্রৌঢ়া। অন‌্যদিকে পুলিশ খুঁজে বের করল আমবাড়ির বৃদ্ধকে। বর্তমানে স্বস্তিতে জলপাইগুড়ি জেলার দুই প্রান্তের দুই পরিবার। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারে জেলা থেকেও কুম্ভমেলায় হারিয়ে গিয়েও শনিবার বাড়ি ফিরে এলেন জংশনের বাসিন্দা রতন পন্ডিত।

পুণ‌্যলাভের আশায় স্বামীর সঙ্গে মহাকুম্ভের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাসিন্দা বছর ৫৮-এর রেসমেইত মেহের। গত বুধবার স্নান সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। ওই একই দিনে কুম্ভস্নানে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির আমগুড়ির বাসিন্দা ৬৩ বছরের রাধেশ্যাম মজুমদার। দু’জনকেই মরিয়া হয়ে খুঁজছিলেন তাঁদের পরিবার। শুক্রবার রাতে সকলকে অবাক করে একাই ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরে আসেন রেসমেইতদেবী। রাতেই ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়।

পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সমালোচনা করে বিধায়ক জানান, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি। একার চেষ্টায় বাড়ি ফিরে এসেছেন রেসমেইত। অন্যদিকে রাধেশ্যামবাবুকে খুঁজে না পেয়ে শনিবার সকালে ময়নাগুড়ি থানার দ্বারস্থ হয়েছিল তাঁর পরিবার। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ জানান, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাধেশ্যামবাবুর হদিশ করতে পেরেছেন তারা। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। ভিডিও কলে পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। এদিন বিকেলেই পরিবারের লোকজন উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

এদিকে পেশায় দর্জি রতনবাবু মঙ্গলবার রেল বাজারের অন্যান্যদের সঙ্গে কুম্ভমেলায় যান। বুধবার ট্রেন থেকে নেমে তিনি সহযাত্রীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তারপরও মৌনি অমবস্যায় কুম্ভে স্নান করেন তিনি। তাঁর কাছে কোনও মোবাইল ফোন ছিল না। অবশেষে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করে তিনি এদিন বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে রতনবাবু বলেন, “হারানোর পর সেখানে প্রশাসনের কোনও সহযোগিতা পাইনি। কোনওরকমে একে-ওকে জিজ্ঞাসা করে বাড়ি ফিরতে পারি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *