সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিল্মি দুনিয়ায় পা রেখেই হইচই ফেলে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। অরিন্দম শীলের রাজনৈতিক থ্রিলারে তৃণমূল মুখপাত্রকে দেখা যাবে বামনেতার চরিত্রে। এখবর চাউর হওয়ার পর থেকেই কৌতূহলী দর্শক। বিশিষ্ট বামনেতা অনিল বিশ্বাসের চরিত্রে ঠিক কেমন লাগবে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে? সম্প্রতি লুক প্রকাশ্যে এনে হাজারো কৌতূহলের অবসান ঘটিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এবার ‘কর্পূর’-এর সেট থেকে ‘বিগ ফ্রাইডে’ চমক দিলেন নেতা-অভিনেতা।
লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় হাতেখড়ি। অতঃপর অভিনয়ের অ-আ-ক-খ থেকে ক্যামেরার লুক দেওয়া, লম্বা সংলাপ আওড়ানো, যাবতীয় খুটিনাটি বিষয় আত্মস্থ করতে হচ্ছে। আর সেই প্রেক্ষিতেই ‘কর্পূর’-এর সেটে কুণাল ঘোষ ‘ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ’ অরিন্দমের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। শুক্রবার সেট থেকে তাঁর শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেল, বামনেতা ‘অনিল বিশ্বাসে’র ভূমিকায় ক্যামেরায় শট দিতে ব্যস্ত তিনি। আর নেতা-অভিনেতাকে ক্যামেরার অবস্থান বুঝিয়ে দিচ্ছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। আর তিনিও বাধ্য ছাত্রের মতোই শট বুঝে নিচ্ছেন পরিচালকের কাছে। কুণাল ঘোষ বলছেন, “আমার কাছে এ এক নতুন অভিজ্ঞতার পর্ব।” উল্লেখ্য, নয়ের দশকের শেষভাগের মনীষা মুখোপাধ্যায়ের অন্তর্ধানের ঘটনার ছায়ায় নির্মিত হচ্ছে এই ছবি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী পরীক্ষা নিয়ামক ১৯৯৭ সালে হঠাৎই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর বাড়ি না ফেরার হদিশ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যার নানারকম থিওরি-রাজনৈতিক যোগের কথা আজও চাউর। সেই সিনেমাতেই তৎকালীন বামনেতা অনিল বিশ্বাসের ভূমিকায় ধরা দেবেন কুণাল ঘোষ।
সম্প্রতি নতুন এই সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কুণাল ঘোষ আগেই জানিয়েছিলেন, “এক একটা চরিত্রের এক একরকম বৈশিষ্ট্য। আমি এই বিষয়ে একদম নতুন। নবাগত। ফলত আমাকে আমার পরিচালক গড়ে পিঠে নিচ্ছেন। আর আমার বন্ধু ব্রাত্য, সেও খুব গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিচ্ছেন আমাকে। আমি সেইমতো নিজেও অনুশীলন করছি। ভালোভাবে বারবার স্ক্রিপ্টটা পড়ছি। পিডিএফ আকারেও ছবির স্ক্রিপ্টটা রেখেছি। কখনও গাড়িতে যেতে যেতে স্ক্রিপ্টটা পড়ে নিচ্ছি। এভাবেই চেষ্টা করছি।” তবে সিনেদুনিয়ায় পা রাখলেও তাঁর সঙ্গে যে কারও প্রতিযোগিতা নেই, সেকথাও জানান তিনি। তাঁর সংযোজন, “এই যে এতজন অভিনয় জগৎ থেকে রাজনীতিতে এসেছেন, আমি এটাই দেখাতে চাই যে এদিক থেকেও ওদিকে যাওয়া যায়, পারফর্ম করা যায়। আমার পরিচালক যেন বলেন তিনি আমার কাজে সন্তুষ্ট। আমি নিজেও সন্তুষ্ট হতে চাই যে আমি ফাঁকিবাজি করিনি। আমি কখনও ফাঁকিবাজি করে কোনও কাজ করি না।”