কুকুরকে খাওয়ানো নিয়ে বচসা, রানাঘাটে স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকাকে হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

কুকুরকে খাওয়ানো নিয়ে বচসা, রানাঘাটে স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকাকে হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

রাজ্য/STATE
Spread the love


সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: রাস্তার সারমেয়দের নিয়মিত খেতে দেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। কুকুরদের খেতে দেওয়ার কারণে রাস্তা ও আশপাশের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলের মধ্যেই হেনস্থা করা, হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় স্থানীয় কাউন্সিলর। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি নদিয়ার রানাঘাটের লালগোপাল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা।

রানাঘাটের লালগোপাল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এলাকায় অত্যন্ত নামি স্কুল। ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত আছেন শতাব্দী সরকার। রানাঘাট শহরেরই বাসিন্দা তিনি। স্কুল ও আশপাশের এলাকার একাধিক পথকুকুরকে তিনি নিত্যদিন খাওয়ান বলে খবর। স্কুলের সামনের রাস্তাতে কুকুরদের প্লাস্টিকে করে খেতে দেওয়া হয়। এদিনও সকালে সারমেয়দের খেতে দেওয়া হয়। এদিন বেলা প্রায় ১০টা নাগাদ ওই স্কুলে উপস্থিত হন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ দত্ত। কেন রাস্তায় কুকুরদের খেতে দেওয়া হয়েছে? সেই নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে ওই কাউন্সিলর রীতিমতো হম্বিতম্বি করেন বলে অভিযোগ। কেন রাস্তায় ভাত ছড়িয়ে আছে? কেন রাস্তায় প্লাস্টিক পড়ে আছে? সেই প্রশ্ন কাউন্সিলর করেন। প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, আগামী কাল থেকে রাস্তায় কুকুরদের খাওয়ানোর পর সেই জায়গা অপরিষ্কার থাকবে না। কিন্তু কাউন্সিলর কোনও কথাই শুনতে চাননি বলে অভিযোগ। কুকুরদের খেতে দেওয়া যাবে না বলেও কড়া ভাষায় জয়দীপ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। স্কুলের অনেকের সামনে কাউন্সিলর প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে এহেন আচরণ করেন বলে অভিযোগ।

এরপরই বেলায় রানাঘাট থানায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অভিযোগ দায়ের করেন। শুধু তাই নয়, রানাঘাট পুরসভাতেও অভিযোগের প্রতিলিপি জমা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। শতাব্দী সরকার জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে অন্যদের সামনে অপমানজনক ব্যবহার করা হয়েছে। বাধ্য হয়েই অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কাউন্সিলর। ওই শিক্ষিকাকে কোনও অপমানজনক কথা বলা হয়নি। কুকুরদের খেতে দিতেও বারণ করা হয়নি বলে তিনি পালটা দাবি করেছেন। রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান কুশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জায়গা পরিষ্কার করার কথা জানানো হয়েছে। ওই শিক্ষিকার কুকুরদের খেতে দেওয়ার বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *