কীভাবে বন্ধ হবে যুদ্ধ? রাশিয়াকে বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়ে উপায় জানালেন জেলেনস্কি

কীভাবে বন্ধ হবে যুদ্ধ? রাশিয়াকে বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়ে উপায় জানালেন জেলেনস্কি

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছর পূর্ণ হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। কবে থামবে দুদেশের এই রক্তক্ষয়ী সংঘাত? এই প্রশ্নই এখন আন্তর্জাতিক মহলে। ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিতেও রাজি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবার তিনি জানালেন, রাশিয়ার হাতে সমস্ত বন্দিদের তুলে দিতে রাজি। বদলে বন্দি বিনিময় করতে হবে মস্কোকেও। এভাবেই যুদ্ধ থামানোর পথে এক ধাপ এগোতে হবে। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় ফিরতেই বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে জেলেনস্কির সঙ্গে। দিন কয়েক আগেই ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানকে স্বৈরাচারী বলে তোপ দেগেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরুর জন্যও তিনি জেলেনস্কিকেই দায়ী করেছিলেন। ট্রাম্পকে পালটা দিতে ছাড়েননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও। তবে এবার লড়াই বন্ধ করার পথে হাঁটতে চান তিনি। যুদ্ধের তিন বছর পূর্তিতে কিয়েভে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে যোগ দিয়েই জেলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেনের সমস্ত বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া উচিত রাশিয়ার। বদলে আমরাও সমস্ত রুশ বন্দিদের মস্কোর হাতে তুলে দেব। আমার মনে হয় এভাবেই শান্তির পথে এগোতে আমাদের প্রথম ধাপে যাওয়া উচিত।”

বলে রাখা ভালো, ২০২৪-এ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যস্থতায় ৯৫ জন বন্দি বিনিময় করে যুদ্ধরত দুদেশ। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১০৩ জেলবন্দিকে মুক্ত করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এদিকে, আজ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, “যদি প্রয়োজন পড়ে ইউক্রেনের জন্য আমি আমার পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজি।” তবে তিনি এও দাবি করেন যে, তাঁর পদত্যাগের বিনিময়ে হলেও ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা হোক।

অন্যদিকে, যুদ্ধের তিনবছর পূর্তিতে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেনাবাহিনীর উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, নতুন অস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম দেওয়া হবে সেনাকে। আরও বেশি করে সেনাকে সাহায্য করবে প্রশাসন। বিশেষত ইউক্রেনে যুদ্ধরত সৈনিকদের কুর্নিশ জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার ভবিষ্যৎকে রক্ষা করছেন আপনারা।’ পুতিনের এমন বার্তার আগেই অবশ্য ইউক্রেনে বড়সড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তিনবছরে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা হয়েছে ইউক্রেনের উপরে। বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে তার জেরে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *