সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে যৌনগন্ধী কথোপকথন থেকে মিথ্যে প্রেমের ফাঁদ। প্রযুক্তির জমানায় এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কুকীর্তি নেহাত কম নয়। এই ঘটনায় অভিযোগও উঠেছিল ঢের। এআই-এর ফাঁদে পড়ে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা সামনে আসার পর তদন্ত শুরু করেছিল আমেরিকার সেনেট। যার জেরেই এবার নড়েচড়ে বসল মার্ক জুকারবার্গের মেটা। জানানো হয়েছে, এখন থেকে মেটা এআই আর অল্পবয়সিদের সঙ্গে যৌনগন্ধী কথাবার্তা বলবে না, আত্মহত্যা নিয়েও কোনওরকম আলোচনা করবে না।
চলতি মাসে রয়টর্সের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, শিশু, কিশোরদের সঙ্গে যৌনগন্ধী কথাবার্তা বলে মেটার এআই। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে জুকারবার্গের সংস্থা। সক্রিয় হয় সেনেট। এরপরই মেটার মুখপাত্র জানান, শিশুদের সঙ্গে যৌনগন্ধী কথাবার্তা বন্ধ করতে সাময়িকভাবে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ করা হবে। যার ফলে বয়স অনুযায়ী এআই-এর সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা। তবে বিষয়টিকে হাল্কাভাবে নিতে নারাজ মার্কিন সেনেট। রিপাবলিকান সেনেটরদের বড় অংশ চাইছেন, মেটা-র নীতি নিয়ে আলোচনা ও বৈঠক করতে। গত বছর এই ইস্যুতে একটি বিল পাসের চেষ্টা হয়, যদিও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে আটকে গিয়েছিল সেটি। সেনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন জানান, সোশাল মিডিয়ায় শিশু সুরক্ষার বিষয়টিকে মোটেই হাল্কাভাবে নেওয়া উচিত নয়।
এদিকে এই মেটার এআই-এর একাধিক কুকীর্তি সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গত মার্চ মাসে নিউ জার্সির এক ৭৬ বছরের বৃদ্ধ মেটার কৃত্রিম প্রেমিকার প্রেমের ফাঁদে পড়েন। বৃদ্ধের সঙ্গে দেখা করতে তাঁকে নিউ ইয়র্কে ডাকা হয়। তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধ পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই মৃত্যুর জন্য মেটার দিকে আঙুল তোলে পরিবার। পাশাপাশি ফ্লোরিডার ১৪ বছরের এক কিশোরের আত্মঘাতী হওয়ার জন্য মেটার বিরুদ্ধে মামলা করেন কিশোরের মা। একের পর এক ঘটনার তদন্তে নেমে মেটার নীতি খতিয়ে দেখেছিল রয়টর্স। ২০০ পাতার সেই নথিতে দেখা যায়, ১৩ বছর পার করলেই মেটার তৈরি কল্পনার মহিলাদের সঙ্গে যৌনগন্ধী অশ্লীল চ্যাট করা যায়। এবার সেই নিয়মেই বদল আনছে মেটা।