কিডনির অসুখে ভুগছে ছেলে, পাঞ্জাবের সীমান্তে কড়া নজরদারিতে ব্যস্ত স্বামী, দুশ্চিন্তায় স্ত্রী ইন্দিরা

কিডনির অসুখে ভুগছে ছেলে, পাঞ্জাবের সীমান্তে কড়া নজরদারিতে ব্যস্ত স্বামী, দুশ্চিন্তায় স্ত্রী ইন্দিরা

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: অসুস্থ নাবালক সন্তান, পরিবারের থেকেও আগে দেশ। বাংলার জওয়ান প্রদীপ প্রধান ছেলের অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়ে জলপাইগুড়ির বাড়ি আসার কথা ছিল । যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেই ছুটি বাতিল হয়ে নিজের কর্মক্ষেত্রে সীমান্তে মোতায়েন তিনি। এরই মধ্যে ভারত -পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১২ মে বেলা ১২টা পর্যন্ত সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। এবার কি তিনি বাড়ি ফিরবেন? সেই কথাই ভাবছেন ওই জওয়ানের পরিবার।

জলপাইগুড়ির এথেলবাড়ি এলাকায় বাড়ি জওয়ান প্রদীপ প্রধানের। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। বর্তমানে পাঞ্জাব সীমান্তের পাঞ্চকুলা জেলায় তিনি মোতায়েন আছেন। বাড়িতে প্রদীপের স্ত্রী ইন্দিরা প্রধান, দুই ছেলে আছে। বড় ছেলে পিয়াস দশম শ্রেণির ছাত্র। ছোট ছেলে প্রিয়াস তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে৷ ছোট ছেলেই অসুস্থ। তার চিকিৎসার জন্যই ছুটি নিয়ে সম্প্রতি জলপাইগুড়ির বাড়িতে আসার কথা ছিল প্রদীপ প্রধান। তার মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা হয়। ২৬ জন পর্যটক মারা যান হামলায়। তারপরই ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের মধ্যে অস্থিরতা বাড়তে থাকে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নেওয়া ছুটি বাতিল হয়ে যায় তাঁর। স্ত্রী-সন্তানদের রেখে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সীমান্তেই আছেন তিনি। এই অবস্থায় দুশ্চিন্তার মেঘ ঘনিয়ে এসেছে তাঁর পরিবারে।

জানা গিয়েছে, ছোট ছেলে প্রিয়াস কিডনির সমস্যায় ভুগছে। তার একটি মাত্র কিডনি রয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতায় নিয়ে যেতে হবে৷ জুন মাসে চিকিৎসার জন্য সব কিছু ঠিক হয়েছিল। সেজন্য ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরতেন প্রদীপ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ছুটি বাতিল হয়েছে। কবে ছুটি মিলবে, তাও জানা নেই৷ ছেলের চিকিৎসা না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। সেই আশঙ্ক ইন্দিরা দেবীর। স্বামী-সন্তানের জন্য প্রবল দুশ্চিন্তা তাঁর মনে। বাপেরবাড়ি এথেবাড়িতে এসে সন্তানদের নিয়ে থাকছেন ইন্দিরা প্রধান। ওই বাড়ির অন্য দুই বাসিন্দা বয়স্ক মা রানু প্রধান, বাবা রতনকুমার প্রধান। বাড়িতে আর কোনও পুরুষ নেই। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পরিবার থাকলেও, তাঁরা চাইছেন জঙ্গিদের যোগ্য জবাব দিক ভারত।

ইন্দিরা প্রধান বলেন, “খুবই দুশ্চিন্তায় থাকছি আমরা, প্রতিটা মুহূর্ত খবরে নজর রাখছি। স্বামী পাঞ্জাব সীমান্ত রয়েছে, দুই ছেলেকে নিয়ে আমি বাপের বাড়িতে আছি।” প্রদীপ প্রধানের বড় ছেলে পিয়ুসের কথায়, “বাবা সীমান্তে রয়েছে, তাই সবাই আমরা চিন্তায় থাকি। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে টিভি খুলে খবর দেখি। প্রতিদিন ফোনে বাবার সঙ্গে কথা বলি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *