কালীঘাটের কাকুর অডিও-য় নাম! ‘ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা সিবিআইয়ের’, বলছেন অভিষেকের আইনজীবী

কালীঘাটের কাকুর অডিও-য় নাম! ‘ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা সিবিআইয়ের’, বলছেন অভিষেকের আইনজীবী

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের অতিরিক্ত তৃতীয় চার্জশিটে নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের! আদালত সূত্রে দাবি, চার্জশিটে একটি অডিও ক্লিপের উল্লেখ রয়েছে। যেখানে নাকি পার্থ-মানিকের পাশাপাশি অভিষেকেরও নাম শোনা গিয়েছে। তবে চার্জশিটে উল্লেখ করা জনৈক অভিষেক কি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও চার্জশিটে অভিষেকের নাম থাকা নিয়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে অভিষেককে। ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় বুধবার আদালতে ২৮ পাতার চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। তাতে ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কথোপকথনের উল্লেখ রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, অডিওতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের নামের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শোনা গিয়েছে। এই অডিও-র সত্যতা যাচাই করতে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, চার্জশিটে পার্থ-মানিকের পরিচয়ের উল্লেখ থাকলেও অভিষেকের নামের আগে কোনও পরিচয়ের উল্লেখ নেই। যার ফলে স্পষ্ট হয়নি যে চার্জশিটে উল্লেখ থাকা অভিষেকই তৃণমূলের সাংসদ কি না।

এরপরই অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু প্রতিক্রিয়া দেন। বলেন, “মামলার তদন্তকারী সংস্থা ইডি আমার মক্কেলের (অভিষেক) বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট দাখিল করেনি। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের কোনও উপাদানের উপস্থিতিও মেলেনি। তার পরেও তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট আমার মক্কেলকে হয়রানির উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিছু নয়।” অভিষেকের তরফে আরও বলা, ‘ইডিকে কাজে লাগিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরে একটি রাজনৈতিক শক্তি সিবিআইয়ের দিকে ঝুঁকেছে। স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে। সংশ্লিষ্ট চার্জশিটে প্রমাণের স্পষ্ট অভাব থাকা সত্ত্বেও সন্দেহ (অভিষেক সংক্রান্ত) তৈরি করার একটি মরিয়া প্রচেষ্টা করা হয়েছে।’

দুপক্ষের তরজার মাঝেও একাধিক প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। চার্জশিটে বাকিদের নামের আগে পরিচয় উল্লেখ করা থাকলেও জনৈক অভিষেকের পরিচয় স্পষ্ট করা হয়নি, দেওয়া হয়নি ঠিকানা।  ফলে প্রশ্ন উঠছে, কীসের ভিত্তিতে আচমকা এই নাম ভাসিয়ে দেওয়া হল? তদন্তের নামে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই কি এহেন পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার?  



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *