অর্ণব আইচ: ট্য়াংরায় বাড়ি থেকে তিন দেহ উদ্ধারে পরতে পরতে রহস্য। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দেনায় ডুবে ছিল প্রণয়-প্রসূন দে-র পরিবার। একদিকে বাজারে বড় অঙ্কের দেনা অন্যদিকে বিরাট অঙ্কের চেক বাউন্স। কারখানার শ্রমিকদের বেতনও দিতে পারছিল না তারা। সবমিলিয়ে দেনার ডুবেছিল গোটা পরিবার। তাই কি স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা? তা এখনও স্পষ্ট করেনি কলকাতা পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
বুধবার সকালে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ঘটনাস্থলে যান। বাড়িটি পরিদর্শন করেন। তারপর তিনি জানান, ট্যাংরায় একটি বাড়ির তিনটি ঘর থেকে তিনটি আলাদা দেহ উদ্ধার হয়। তবে এটা খুন নাকি আত্মহত্যা, তা স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে স্পষ্ট হবে।
উদ্ধার হওয়া দেহগুলির মধ্যে পরিবারের বড় বউ সুদেষ্ণা দে-র কবজিতে ক্ষত, ছোট বউ রোমি দে-র গলায় ক্ষত রয়েছে। প্রসূনের মেয়ে প্রিয়ম্বদা দে-র পায়েসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মারা হয়েছে বলে খবর। তিনতলার ঘর থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার হয়েছে। তবে রক্ত ছড়িয়েছিল গোটা বাড়িতেই। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া প্রসূন দে-র হাতে দাগ ছিল। আবার প্রণয় দে-র ছেলে প্রতীপ গাড়িতে ছিল। তার হাতেও দাগ। ওই ছুরির আঘাতেই কি দুজনের হাতে দাগ তৈরি হয়েছিল?
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই বাড়ি অন্ধকার ছিল। দে পরিবারের চামড়ার ব্যবসা। চামড়ার কারখানার শ্রমিকদের বেতন নিয়ে সমস্যা চলছিল। ২৩ লক্ষ টাকার চেক বাউন্স হয় দে পরিবারের। বাজারেও ৩০ লক্ষ টাকার দেনা হয়েছিল। সেই আর্থিক টানাপোড়েনের জেরেই কি এই হত্যাকাণ্ড, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।