সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাস্টিন ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুন নিয়ে তলানিতে ঠেকেছিল ভারত-কানাডা সম্পর্ক। মার্ক কারনি মসনদে বসার পর থেকেই পরিস্থিতির বদল হতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে এবার দীনেশ কে পট্টনায়েক কানাডায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কানাডার সঙ্গে দূরত্ব মেটাতে চাইছে নয়াদিল্লি। এটা তারই সংকেত।
কে এই দীনেশ কে পটনায়েক? ১৯৯০ আইএফএস ব্যাচের এই অফিসার বর্তমানে স্পেনের ভারতীয় দূতাবাস সামলাচ্ছেন। খুব শীঘ্রই তিনি কানাডার দূতাবাসের দায়িত্বভারও গ্রহণ করবেন। ১৯৮৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দীনেশ কে পটনায়েক স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতকোত্তর হন আইআইএম কলকাতা থেকে। এরপরই দীনেশ ভিয়েনা চলে যান। সেখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সাম্প্রতিককালে স্পেন ছাড়াও কম্বোডিয়া, মরক্কো দেশের অ্যাম্বাসাডার ছিলেন দীনেশ কে পট্টনায়েক। প্রায় ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই আধিকারিক বিভিন্ন মিশনে জেনেভা, ঢাকা, বেজিং ছাড়াও আফ্রিকা পশ্চিম ইউরোপে ছিলেন তিনি। পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘ ও ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন দীনেশ পটনায়েক।
উল্লেখ্য, নিজ্জরের খুন নিয়ে ভারতকে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন ট্রুডো। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এই কুখ্যাত খলিস্তানি জঙ্গির খুন নিয়ে সরাসরি আঙুল তুলেছেন দিল্লির দিকে। দেশ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় কূটনীতিকদের। কিন্তু মাঝখানে ট্রুডোকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের কাছে গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল। ভারতের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত পোক্ত প্রমাণ আমরা পাইনি। সবটাই তদন্তের পর্যায় রয়েছে।” এর পরই কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচার নিয়ে সরব হয় দিল্লি। পালটা দিয়ে জানানো হয়, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন ট্রুডো। এছাড়া দিল্লি বহুবার অভিযোগ জানিয়েছে যে, খলিস্তানিদের চারণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে কানাডা। সেখানে বসে ভারতের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যাকে ঘিরে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল বড় হতে শুরু করে। এবার নয়া পরিস্থিতিতে সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার দীনেশ কে পট্টনায়েক কানাডায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলেন।