‘কাঁটা’ ভারতের ‘শত্রু’ দেশ, তেহরান ছেড়েও মহাবিপাকে ইরানে আটকে পড়া বাংলার অধ্যাপক

‘কাঁটা’ ভারতের ‘শত্রু’ দেশ, তেহরান ছেড়েও মহাবিপাকে ইরানে আটকে পড়া বাংলার অধ্যাপক

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাণ হাতে করে ইরান থেকে পালিয়েছিলেন। কিন্তু এবার নতুন করে বিপদে পড়েছেন তেহরানে আটকে থাকা কলকাতার অধ্যাপক ফাল্গুনী দে। ইরান থেকে আজার বাইজান হয়ে দেশে ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু আজারবাইজান সীমান্তে পৌঁছলেও সেদেশে প্রবেশের অনুমতি মিলছে না। ফলে সেদেশ থেকে ভারতে ফেরার পরিকল্পনা আপাতত বিশ বাঁও জলে। এহেন পরিস্থিতিতে কীভাবে দিন কাটাবেন, সেই চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে ফাল্গুনীকে।

কলকাতার উইমেন্স ক্রিশ্চান কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক ফাল্গুনী। চলতি মাসেই ইরানে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের জেরে বন্ধ ইরানের আকাশসীমা। ফলে ভারতের ফেরার বিমান নেই। হাতে থাকা টাকার পরিমাণও ফুরিয়ে আসছে তাঁর। সেই নিয়ে অধ্যাপক বলেন, “তেহরানে ফিরে ৪০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে তিন হাজার) প্রতিদিনের ভাড়ার একটি হোটেলে উঠি। কিন্তু তা বেশিদিন টানা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, না এজেন্সি টাকা পাঠাচ্ছে, না দূতাবাস। যুদ্ধকালে খরচ তুলতে হিমশিম অবস্থা। এমনকি, নিজের বাড়িতে টাকা আনাব, সেই সুযোগও নেই। কারণ সব ব্যাঙ্ক বন্ধ।”

ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। এরই মধ্যে সোমবার থেকে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের আর্মেনিয়া হয়ে ইরান থেকে সরিয়ে আনা শুরু হয়। কিন্তু তার পরের দিনই ইরানে থাকা ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের জন্য় বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে তেহরানের ভারতীয় দূতাবাস। মঙ্গলবার দূতাবাসের তরফ থেকে বলা হয়, দেরি না করে করে প্রত্যেকে যেন তেহরান ছাড়েন। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা যেন নিজেরাই অন্য কোনও শহরে চলে যেতে পারেন।

সেই মতো ইরানের সীমান্তবর্তী শহর আস্তারায় গিয়েছিলেন ফাল্গুনী। সেখান থেকে ইরানের সীমান্ত পেরিয়ে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে পৌঁছে মুম্বই ফেরার বিমান ধরার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আজারবাইজানে ঢুকতেই পারেননি তিনি। কারণ ইরান থেকে একটি মাইগ্রেশন কোড থাকলে তবেই আজারবাইজানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে ফাল্গুনীকে। তাঁর কথায়, সেই কোড এসে পৌঁছতে এখনও ১৪ দিন সময় লাগবে। ততদিন কিভাবে ইরানে দিন কাটাবেন, জানেন না ফাল্গুনী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *