রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ১৪৪ ধারা অমান্য করে কসবা কাণ্ডে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ বিজেপি। যার জেরেই তিন বিজেপি কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মীনা দেবী পুরোহিত-সহ তিন বিজেপি কাউন্সিলরকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে কসবা কাণ্ডে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্য নেতারা জামিন নিতে রাজি হননি। যার আজ রাতে লকআপেই থাকছেন তাঁরা।
কসবা কাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হলেও, বিজেপি এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এই ইস্যুতে শনিবার শহরের রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল বের করে গ্রেপ্তার হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতা। এর পালটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় বিক্ষোভ। লালবাজারের সামনেও বিক্ষোভে বসেন বিজেপির একাধিক নেতা-কর্মী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তোলেন তাঁরা। বিক্ষোভ হঠাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ডিসি সেন্ট্রাল। বিক্ষোভকারীদের জানানো হয়, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তারপরও অবস্থান বিক্ষোভে অনড় বিজেপি কাউন্সিলরদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল থেকে কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নির্যাতিতা দাবি করেন, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল গার্ড রুমে। অভিযোগ, তিনি সেখানে গেলে তাঁর উপর চড়াও হন তিনজন। গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু না বলতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্রী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রথমে দু’জনকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তাঁদের থেকেই মূল অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যায়। কালবিলম্ব না করে মূল অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে কলেজের সরকারি নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে তাঁর বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।