‘কল্যাণের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত’, ফেডারেশন সভাপতিকে ‘জুমলাবাজ’ তোপ দেগে বিস্ফোরক বাইচুং

‘কল্যাণের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত’, ফেডারেশন সভাপতিকে ‘জুমলাবাজ’ তোপ দেগে বিস্ফোরক বাইচুং

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


প্রসূন বিশ্বাস: ভারতীয় ফুটবলে ডামাডোল লেগেই রয়েছে। এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে হংকংয়ের কাছে হার যেন বিরাট ঝাঁকি দিয়েছে দেশের ফুটবলমহলকে। প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া যেমন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার। পালটা তোপ দেগেছেন কল্যাণও। এবার কলকাতার সাংবাদিক সম্মেলন করে ফেডারেশন সভাপতির সমস্ত বক্তব্যের পয়েন্ট ধরে ধরে উত্তর দিয়েছেন কিংবদন্তি ফুটবলার। শুধু কল্যাণের সভাপতি পদে থাকা নিয়ে প্রশ্নই তুললেন না, কল্যাণ আদৌ কোনও দিন জাতীয় দলে খেলেছেন কি না, সেই কথাও বললেন। এককথায় কল্যাণের সমস্ত যুক্তি উড়িয়ে তাঁকে কার্যত ‘মিথ্যাবাদী’ বলে তদন্তের দাবি করলেন বাইচুং।

সাংবাদিক সম্মেলনে বাইচুং বলেন, “আমাদের সময়ে মাত্র ১৬টা দল এশিয়া কাপ খেলত। এখন সেটা ২৪টা হয়েছে। তার মধ্যে আমাদের আসা উচিত। ভারতীয় ফুটবলের র‍্যাঙ্কিং কোথায় নেমেছে দেখুন। এখন রয়েছে ১৩৩ নম্বরে। তার মূল কারণ ফেডারেশনের ব্যর্থতা। কল্যাণ চৌবে তো বলেছিলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে এশিয়ার শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে চলে আসবে ভারত। এখন তিনি বলছেন আমরা তো ১০ বছর আগের কথা ভাবছি। আর এই যে এশিয়ার প্রথম দশে আসার কথা বলছে, এটা তো প্রফুল্ল প্যাটেলের পরিকল্পনা। কিন্তু গত তিন বছরে মাঠে হোক বা ম্যানেজমেন্টে আমরা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছি।”

বাইচুং আরও বলেন, “আমি ১৯৯৯ সাল থেকে ভারতের অধিনায়ক ছিলাম। অবসর নিয়েছি ২০১১ সালে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমার নেতৃত্বে কোনওদিন কল্যাণ চৌবে খেলেনি। হ্যাঁ, হয়তো দুয়েকটা সফরে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে তৃতীয় পছন্দ ছিল। আর এখন সব জায়গায় ও মিথ্যা বলে যাচ্ছে যে, জাতীয় দলে খেলেছে। ও খেলার সময়ও খেলার থেকে বেশি রাজনীতিই করত।”

শোনা যাচ্ছিল, হংকং ম্যাচ জিতলে ফেডারেশন থেকে জাতীয় দলকে ৪২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। বাইচুং প্রশ্ন তুলছেন, “যদি পুরস্কারই দিতে হয়, তাহলে বলো এশিয়া কাপে যোগ্যতা অর্জন করলে টাকা দেওয়া হবে। নাহলে কি আবার সিঙ্গাপুর ম্যাচেও টাকা দিত? অথচ বলছে তৃণমূল স্তরে কাজ করার মতো টাকা নেই। কর্মচারীরা টাকা পাচ্ছে না। এই হল ফেডারেশনের অবস্থা। তার মধ্যে আবার বলছে, সেরা স্ট্রাইকারদের নিয়ে এসে ফুটবলারদের ট্রেনিং দেব। তাহলে তো রোনাল্ডোর ছেলের থেকে সেরা প্লেয়ার আর কে হবে? এ তো রীতিমতো জুমলাবাজি।”

এর আগে কল্যাণ চৌবে বলেছিলেন, ২০৩১-এ এশিয়া কাপ আয়োজন করতে চান। কিন্তু বাইচুংয়ের পালটা, “আমরা তো ২০২৭-এই এশিয়া কাপ করতে চেয়েছিলাম। সৌদিও লড়াইয়ে ছিল। তারপর কল্যাণ সৌদিতে গিয়ে গোপনে কী চুক্তি করে এল জানি না। দেখা গেল, আমরা একবছর সৌদিতে সন্তোষ ট্রফি খেলতে গেলাম। আমি তো বলব, সৌদি আরবে গিয়ে ও কী করেছে, সেটা নিয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা উচিত। কল্যাণের নামে প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ আছে। ওর জন্য ফেডারেশনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।” তাহলে কি কল্যাণের সরে যাওয়াই সমাধান? বাইচুং সেটার পাশাপাশি তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবল নিয়ে আসার কথা বলছেন কিংবা অ্যাকাডেমি গড়ার কথাও বলছেন। আর সব শেষে তাঁর বিস্ফোরণ, “ও তো স্বৈরাচারী। কল্যাণকে সরালে আর যাই হোক, এর চেয়ে খারাপ হবে না।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *