প্রসূন বিশ্বাস: কলকাতা লিগ মাঝপথে। এর মধ্যে গ্রুপ এ নিয়ে দুটি সিদ্ধান্ত নিল আইএফএ। এক, ১৩ আগস্ট মোহনবাগানের ঘরের মাঠে কলকাতা লিগে মেসারার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামার কথা ছিল সবুজ-মেরুনের। কিন্তু ১৩ আগস্ট ময়দানে মোহনবাগানের ম্যাচ হচ্ছে না। কী কারণ জানাল আইএফএ? দুই, কোনও শাস্তি হচ্ছে না সুরুচি সংঘের হেড কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যের। আইএফএ-র নির্দেশমতো সাংবাদিক সম্মেলনে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি। তারপরই রঞ্জনকে ক্ষমা করে দেয় আইএফএ।
এক নম্বর বিষয়ে আসা যাক। আইএফএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে তারা ম্যাচ সম্প্রচারের জন্য মোহনবাগানের মাঠে টাওয়ার বসানোর অনুমতি চেয়েছিল। তবে সেই নিয়ে এখনও কোনও সম্মতি তাদের কাছে পৌঁছয়নি। যে কারণে ১৩ আগস্টের মোহনবাগান ও মেসারার্স ক্লাবের ম্যাচে নৈহাটি বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। গ্রুপ এ-তে প্রথম তিনে আছে পাঠচক্র, সুরুচি সংঘ ও ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের পয়েন্ট ৮ ম্যাচে ১৪। পঞ্চম স্থানে থাকা মোহনবাগানের পয়েন্ট ৬ ম্যাচে ১০।
অন্যদিকে, সোমবার লিগ সাব কমিটি ও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি সুরুচি সংঘের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যের শাস্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। রঞ্জন নিজে তো ক্ষমা চানই, পাশাপাশি সুরুচি সংঘও চিঠি পাঠায়। কলকাতা লিগে তারা এই মুহূর্তে ভালো অবস্থায় আছে। আইএফএও জানিয়েছে, তারা কারও শত্রু নয়। তাই চিঠি তৈরি থাকলেও আর পাঠানো হয়নি। ফলে মঙ্গলবার পুলিশ এসি’র বিরুদ্ধে সুরুচি সংঘের ম্যাচে ডাগআউটে দেখা যাবে রঞ্জনকে।
উল্লেখ্য, এই গ্রুপেই গত ৫ অগাস্ট কাস্টমসের বিরুদ্ধে খেলা ছিল সুরুচি সংঘের। যেহেতু অনেকদিন পর পর ম্যাচ পড়ছে, তাই দলের মোমেন্টাম নষ্ট হচ্ছে। সেই নিয়ে রঞ্জনের বিস্ফোরণ ছিল, “আমাদের মোমেন্টাম নষ্ট করে দেওয়ার জন্য আইএফএ সত্যিই একটা চক্রান্ত করেছে।” যার জেরে তাঁকে দুই ম্যাচ নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে রঞ্জনকে। অন্যথায় পুরো মরশুমের জন্য নির্বাসিত করা হবে সুরুচি কোচকে। তবে গত রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রঞ্জন বলেন, “সেদিন ‘আইএফএ চক্রান্ত করেছে’ এমন কথা বলা একেবারেই ঠিক হয়নি। কখনওই কাউকে আঘাত দিয়ে কথা বলি না আমি। এটাই আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তাই আমি দুঃখিত। অনুতপ্ত। সেদিনের ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”