‘কর্মীরা দিন রাত কাজ করছে’, বিতর্কের মুখে জানাল সিইএসসি

‘কর্মীরা দিন রাত কাজ করছে’, বিতর্কের মুখে জানাল সিইএসসি

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও স্বাভাবিক হল না শহর এবং শহরতলির পরিস্থিতি! বহু জায়গা এখনও জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এখনও পর্যন্ত শহরে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে সিইএসসির ভূমিকা নিয়ে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই পরিস্থিতির জন্য তাদেরকেই দুষেছেন। প্রবল চাপের মুখে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। এরপরই অফিশিয়াল সোশাল মিডিয়ায় তাদের দাবি, ‘লাগাতার বৃষ্টিতে শহরের একাধিক জায়গায় জল জমে যায়। সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়।’

শুধু তাই নয়, সোশাল মিডিয়ায় আরও দাবি, ‘সিইএসসির কর্মীরা দিন রাত কাজ করছে। কড়া নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপরেও।’ এমনকী সকল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে শহরে একের পর এক মৃত্যু নিয়ে তাঁদের দাবি, শহরে যে সমস্ত স্ট্রিট লাইট এবং ট্রাফিক লাইটগুলি রয়েছে সেগুলি সিইএসসির নয়। এমনকী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বেও তারা নেই বলে সাফাই দিয়েছে বেসরকারি এই সংস্থা।

এদিন সকালেই এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, “এর দায় সিইএসসি-কেই নিতে হবে। এখনই তাঁরা জরুরিভিত্তিতে কর্মীদের নামিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করুক।” মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি দাবি করেন, সিইএসসি-র উদাসিনতার বলি এই ৭ জন। সিইএসসি-র উচিত, মৃতদের পরিবারের একজনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া। রীতিমতো ক্ষোভের সুরে তাঁর অভিযোগ, “এখানে তারা ব্যবসা করছে আর আধুনিকীকরণের কাজ করছে না। বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে।”

এরপরই এদিন বিকেলে সরাসরি সিইএসসি কর্তা সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরে খোলা বিদ্যুতের তারগুলির যত্নের কথা বলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবার পিছু অন্তত ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথাও সিইএসসি কর্তাকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান বলে খবর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ







Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *