সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড ভ্যাকসিনের জেরে হৃদরোগ বাড়ছে কিনা, এই বিতর্কের মধ্যে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে কর্নাটকের একটি জেলায়। সেখানে গত ৪০ দিনে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। মৃতদের তালিকায় রয়েছে ১৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সিরা। একের পর এক হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। এর জেরে রোগীর লাইন পড়ে গিয়েছে হাসপাতালগুলিতে। সকলেই ঝুঁকি না নিয়ে হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করাতে চিকিৎসকের কাছে ছুটছেন।
মাইসুরুর জয়দেব হাসপাতাল হৃদযন্ত্রের চিকিৎসার জন্য প্রসিদ্ধ। সেখানেই কর্নাটকের হাসন জেলার হাজার হাজার মানুষ ডাক্তার দেখাতে ভিড় করছেন। ভোর থেকে দীর্ঘ লাইন পড়ছে আউটডোরে। হাসপাতালে সূত্রে খবর, হাসন জেলায় হার্ট অ্যাটাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই অল্পবয়সি থেকে বয়স্ক সকলেই হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করাতে আসছেন। জানা গিয়েছে, গত ৪০ দিনে যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছয় জনের বয়স ১৯-২৫ বছরের মধ্যে। আট জনের বয়স ২৫-৪৫ বছরের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু হাসনই নয়, তার আশাপাশের জেলাগুলি থেকেও প্রতিদিন মাইসুরুর এই হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করাতে আসছেন অনেকেই। মাইসুরুর ওই হাসপাতালের চিকিৎসক এবং সুপার সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এক বার পরীক্ষা করালে সমস্যা মিটবে না। জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসেও বদল আনতে হবে।
প্রসঙ্গত, কর্নাটকে একের পর এক হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর পর সিদ্দারামাইয়া দাবি করেন, মহামারীর সময় কোভিডের টিকা নিয়ে তাড়াহুড়ো হয়েছিল। যুবক-যুবতীদের অকালমৃত্যুর সঙ্গে এর যোগ থাকতেই পারে। মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়। কেন হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু বাড়ছে, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সেই রিপোর্ট সম্প্রতি জমা পড়েছে।