অরূপ বসাক, মালবাজার: কর্তব্যরত অবস্থায় জলে ডুবে মৃত্যু এসএসবি জওয়ানের। শুক্রবার সকালে মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকে ঘটেছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। টহলদারির সময় জলঢাকা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যান বছর ৫২-র ওই এসএসবি জওয়ান। শুক্রবার বিকেলে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম সমরেশ দাস। তিনি সিপচু এলাকার ৪৬তম ব্যাটেলিয়নের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাড়ি কোচবিহারে।
এসএসবি সূত্রে জানানো হয়েছে, একাধিক জওয়ান উপস্থিত থাকলেও স্রোতের টানে ভেসে যান সমরেশ দাস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও এসএসবি জওয়ানদের একটি দল জলঢাকা নদীর সংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছিল। সেই সময় পা পিছলে নদীতে পড়ে যান ওই জওয়ান। সহকর্মীরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও সম্ভব হয়নি। দ্রুত এসএসবি এবং এনডিআরএফ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালায় জলঢাকা নদীতে। নাগরাকাটার জলঢাকা সেতু থেকে সিপচু জঙ্গল পর্যন্ত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বিকেলে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে ক্রান্তি ব্লকের চেংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তালতলা এলাকায়। নিখোঁজ কিশোরের নাম রঞ্জন রায়। বয়স ১৬ বছর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সিভিল ডিফেন্সের একটি দল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে রঞ্জন এবং তার তিন বন্ধু অন্তর দাস, রুদ্র সরকার এবং শুভজিৎ পাইনকে সঙ্গে নিয়ে তিস্তা নদীর তালতলা ঘাটে স্নান করতে নামে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্নানের সময় আচমকাই স্রোতের টানে ভেসে যায় রঞ্জন। বন্ধুরা প্রথমে নিজেরাই তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসেন। কিন্তু নদীর স্রোতের তীব্রতা বেশি থাকায় উদ্ধারের আগেই তলিয়ে যায় রঞ্জন। নদীর গভীরতা এবং জলের প্রবল স্রোতের কারণে সন্ধান পেতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।