সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য হল জনগণের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা। করোনা হোক কিংবা যুদ্ধ, মোদি সর্বদা সামনে এসে মানুষের জন্য কথা বলেন। ভারত-পাক সংঘাতের আবহে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন মোদি।
থারুর বলেন, “টেলিভিশনের সামনে এসে মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনা হোক কিংবা যুদ্ধ, মোদি তাঁর কর্তব্য পালন করেছেন। এর জন্য আমি খুশি।” এরপর আপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গোটা পরিস্থিতি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করা হয়েছে। কোনও পর্যায়েই কোনওরকম ত্রুটি ছিল না।”
ভারত-পাক সংঘাতের মাঝে সোমবার পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মোদি। বলেন, “আমাদের দেশের মা-বোনেদের মাথার সিঁদুর মুছলে কতখনি দাম দিতে হয়, আজ তা বুঝে গিয়েছে গোটা বিশ্বের উগ্রপন্থীরা। জঙ্গিরা স্বপ্নেও ভাবেনি ভারত এত বড় পদক্ষেপ করবে।” থারুর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রশংসা করে বলেন, “গোটা বিশ্বের কাছে ভারত কী বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে? সন্ত্রাসবাদকে শেষ করায় দেশ কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই সবকিছু মোদি তাঁর ভাষণে খুব ভালো করে উথ্থাপন করেছেন।”
প্রসঙ্গত, শনিবারের সংঘর্ষবিরতির পর একদিকে যখন কংগ্রেস সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল, অন্যদিকে কংগ্রেস নেতাদের বলতে শোনা গিয়েছিল, সবাই ইন্দিরা হতে পারে না। সেই পরিস্থিতিতে থারুর কার্যত কংগ্রেসের অবস্থানের উলটো দিকে দাঁড়িয়ে মোদিকেই সমর্থন করেন। দাবি করেন, ১৯৭১ আর ২০২৫ এক নয়। দু’টো সময়ের মধ্যে তফাত রয়েছে। যদিও কংগ্রেস নেতাদের তরফ থেকে থারুরের এই বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ফের মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ থারুর। আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। একের পর এক মন্তব্য তিনি নিজেই যেন কংগ্রেস ত্যাগের জল্পনা উসকে দিচ্ছেন।