‘করিনার সঙ্গে ঘরে ছিলাম, আচমকা…’, হামলার ঘটনায় পুলিশকে বয়ান সইফের

‘করিনার সঙ্গে ঘরে ছিলাম, আচমকা…’, হামলার ঘটনায় পুলিশকে বয়ান সইফের

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামলার দিন ঠিক কী হয়েছিল? কীভাবে আঘাত পেলেন? মুম্বই পুলিশকে দেওয়া বয়ানে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করলেন সইফ আলি খান। সইফ জানালেন, হামলার সময় স্ত্রী করিনা এবং দুই সন্তান তৈমুর এবং জেহ, বাড়িতেই ছিল।

১৬ জানুয়ারি বুধবার রাতে ঠিক কী হয়েছিল? মুম্বই পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সইফ জানিয়েছেন, সেদিন স্ত্রী করিনার সঙ্গে ঘরেই ছিলেন তিনি। আচমকা বাইরে থেলে পরিচারিকা এলিমা ফিলিপসের চিৎকার শুনতে পান। এলিমা করিনাদের ছোট সন্তান জেহ-র দেখাশোনা করেন। জেহ রাতে তাঁর সঙ্গেই ঘুমিয়েছিল। এলিমার চিৎকার শুনে সইফ এবং করিনা ছুটে যান এলিমার ঘরে। দেখতে পান দুষ্কৃতীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলছে এলিমার। সইফ দুষ্কৃতীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।

অভিনেতা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতী জেহ-র ঘর থেকে বের করার জন্য তিনি তাঁকে জাপটে ধরেন। সেসময় ওই দুষ্কৃতী তাঁকে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে। সইফের বাড়ির অন্যান্য কর্মীরা ততক্ষণে ছুটে আসেন। ওই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু সে পালায়। পরে পরিচারিকা এলিমা জানিয়েছেন, ওই দুষ্কৃতী তাঁর কাছ থেকে এক কোটি টাকা চেয়েছিল।

গভীর রাতে নিজের বাড়িতে দুষ্কৃতীর ছুরির আঘাতে যেভাবে হামলার মুখে পড়েছিলেন শর্মিলাপুত্র, তাতে তাঁর বড়সড় শারীরিক সমস্যা হতে পারত। অল্পের জন্য তা থেকে বেঁচেছেন। মেরুদণ্ডের নিচে ছুরির একাংশ গেঁথে গিয়েছিল। আঘাত লেগেছিল হাতে ও শরীরের অন্যান্য জায়গায়। পরেরদিনই লীলাবতী হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। আঘাতের মোকাবিলা করে দ্রুত শারীরিক অবস্থার উন্নতিও হয় ‘ছোটে নবাবে’র। মঙ্গলবার ছাড়া পেয়েছেন তিনি। এদিকে সইফের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতী শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্টের নমুনাও বলছে হামলা চালিয়েছে শেহজাদই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *