সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিদ্রোহীদের নিশানায় পাক সেনা! এবার করাচিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কনভয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। করাচি-কোয়েটা হাইওয়েতে বিস্ফোরণের জেরে উড়ে গেল তিনটি গাড়ি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩২ জন পাক সেনা জওয়ানের। কোনও সংগঠন এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় না নিলেও অনুমান করা হচ্ছে হামলার নেপথ্যে রয়েছে বালোচ বিদ্রোহীরা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রবিবার করাচি থেকে কোয়েটার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল পাক সেনার কনভয়। এই কনভয়ে ছিল ৮টি গাড়ি। জানা যাচ্ছে, পথে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি। কনভয় ওই গাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটে। যার জেরে কার্যত ভস্মীভূত হয় তিনটি কনভয়ের গাড়ি। বাকি গাড়িগুলিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ওই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয়েছে পাক সরকারের তরফে। যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে তা বালচিস্তানের অন্তর্গত। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার নেপথ্যে বালোচ বিদ্রোহীদের হাত থাকতে পারে বলে অনুমান করলেও কেউ এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান থেকে আলাদা হতে চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে বালোচ বিদ্রোহীরা। তাঁদের দাবি, পাকিস্তান অবৈধভাবে তাঁদের জায়গা দখল করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, বালোচিস্তানের খনিজ সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করছে তারা। যার ছিটেফোঁটাও পায় না বালোচিস্তান। দেশের প্রশাসন, সেনা ও রাজনীতিতে একচেটিয়া আধিপত্য করে চলেছে পাঞ্জাব প্রদেশ। বালোচিস্তানকে সেখানে জায়গা দেওয়া হয় না। বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা এই ক্ষোভ সাম্প্রতিক সময়ে আরও ব্যাপক রূপ নিয়েছে। নিজেদের স্বাধীন বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে বালোচ বিদ্রোহীরা।
অন্যদিকে, বালোচিস্তানের বিদ্রোহ দমন করতে আরও বেশি করে দাঁত-নখ বের করেছে পাক সেনা। গোটা অঞ্চলজুড়ে ভয়াবহ নির্যাতন গুম, খুন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, পাক সেনার বিরুদ্ধে উঠেছে সেখানকার সাংবাদিকদের খুনের অভিযোগও। গত শনিবার বালোচিস্তানের সাংবাদিক আবদুল লতিফকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের সামনে খুন করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে পাক সেনাই।