ধীমান রক্ষিত: উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পর্যায়ের প্রথম দিনের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হল। এবার থেকে দুটি পর্যায়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা ২০২৬ সালের মার্চ মাসে হবে। সোমবার ছিল প্রথম ভাষার পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র নিয়ে কোনও অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার ফল আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশ করা হবে এবং ফল প্রকাশের ৭২ ঘন্টার পর ওএমআর আপলোড করা হবে বলে এদিন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।
সংসদ সভাপতি বলেন, “আমরা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কোথাও কোনও অসুবিধা হয়নি। ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে, তারা স্বচ্ছন্দে পরীক্ষা দিয়েছে।” পরীক্ষার দিন চালু ছিল ‘দুয়ার পোর্টাল’র অনলাইন অ্যাটেনড্যান্স সিস্টেম। তবে একসঙ্গে অনেকে অনলাইনে প্রবেশ করায় প্রথম দিনে সামান্য সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। সভাপতির দাবি, “কাল থেকে আর সমস্যা হবে না। ফল প্রকাশের ৭২ ঘন্টার পর কেন ওএমআর সিট আপলোড, তা নিয়ে চিরঞ্জীবের বক্তব্য, “প্রায় ৪০ লক্ষ ওএমআর শিট একসঙ্গে আপলোড করলে সার্ভার ডাউন হয়ে যেতে পারে। তাই আগে ফলাফল প্রকাশ করা হবে, পরে ওএমআর শিট দেওয়া হবে।” এদিকে সংসদের তরফ থেকে জানান হয়, প্রথম দিনের পরীক্ষায় মোট অনুপস্থিত ছিলেন ৫৫২৭ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক দপ্তরের আওতায় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির অনুপস্থিত ১৩২১ জন, বর্ধমানে ১৪৬৫ জন, মেদিনীপুরে ৬৬৮ জন এবং কলকাতায় ২৩৭৩ জন। এছাড়া ১৪ জন অসুস্থ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেননি। তবে ৪৯৭ জন বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। কোথাও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে ধরা পড়েননি কেউ। সংসদ সভাপতির দাবি, “প্রথম দিনে পরীক্ষার সার্বিক ছবি ইতিবাচক।”
তবে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ, তিন মাস ধরে বই পাননি বহু ছাত্রছাত্রী। যদিও সংসদ সভাপতির জবাব, “তিন মাস নয়, এক মাস দেরি হয়েছিল। যে বিষয়টির বই দেরি হয়েছে, সেটির পাঠ ভিডিও টিউটোরিয়াল আকারে ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।” উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নতুন ধাঁচে প্রথম দিন সফলভাবে শেষ হলেও সামনে আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে সংসদকে ভাবতে হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। যেমন বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষার সময়সীমা বা ওএমআর শিট আগেভাগে দেওয়ার দাবির মতো বিষয়। এ নিয়ে সংসদ সভাপতির আশ্বাস, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।