সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বর, সর্দি, কাশি – শিশুদের এই তিন ধরনের শারীরিক সমস্যা যেন লেগেই থাকে। বেশিরভাগ বাবা-মা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান খুদে সদস্যদের। চিকিৎসকের পরামর্শমতো সন্তানকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই ওষুধই যদি হয় প্রাণঘাতী! ঠিক যেমন মধ্যপ্রদেশে কাশির ওষুধ প্রাণ কেড়েছে বহু শিশুর। চিকিৎসকরা বলছেন, অযথা আতঙ্ক নয়। সাবধান হোন। খুদেকে কফ সিরাপ খাওয়ানোর আগে অবশ্যই এই কথাগুলি মেনে চলুন। নইলে ভয়ংকর পরিণতি হতে পারে।
* বাড়ির খুদে সদস্য নিজের অসুস্থতার কথা বড়দের মতো প্রকাশ করতে পারে না। তার আচরণ, উপসর্গ দেখে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হয়। তা যে বেশ কঠিন কাজ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে খুদে অসুস্থ হয়ে পড়ল বলে আপনি নিজে আতঙ্কিত হবেন না।
* মধ্যপ্রদেশে কফ সিরাপই প্রাণ কাড়ার ঘটনার পর থেকে খুদের কাশিতে ভয় পাচ্ছেন কেউ কেউ। সেসব করবেন না। কারণ, নিয়ম মেনে বহু শিশুই কাশির ওষুধ খায়। তারা সুস্থও হয়ে ওঠে।
* তবে সামান্য কাশি শুরু হল কি না সঙ্গে সঙ্গে অযথা খুদেকে কাশির ওষুধ দেবেন না। কারণ, চিকিৎসকদের মতে কাশি হল ভাইরাল ইনফেকশন। তাই সপ্তাহদুয়েকের মধ্যে নিজে নিজেই তা সেরে যায়।
* যদি দেখেন কাশি অত্যন্ত বড়সড় রূপ নিয়েছে, সেক্ষেত্রে কফ সিরাপ খাওয়াতে হবে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো কাশির সিরাপ খাওয়ান।
* ভুলেও চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে, নিজে ওষুধের দোকান থেকে কাশির ওষুধ কিনে খাওয়াবেন না।
* যতদিন চিকিৎসক কফ সিরাপ খাওয়াতে বলেছেন, ঠিক ততদিন খাওয়ান।
* কাশি তাতেও না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভুলেও কাশি কমছে না বলে নিজের ইচ্ছামতো ডোজ বাড়াবেন না।
* কাশি হলে খুদের ডায়েটে বিশেষ নজর দিন। খুদেকে প্রচুর জল খাওয়ান। জলজাতীয় ফল খাওয়াতে পারেন। অবশ্যই ঠান্ডা কোনও খাবার দেবেন না। হালকা গরম খাবার খাওয়ান।
* আর চেষ্টা করুন খুদেকে সারাক্ষণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার। তাতে সপ্তাহদুয়েকের মধ্যে ওষুধ ছাড়াই সুস্থ হয়ে যাবে শিশু।
মনে রাখবেন, আপনার খুদে কতটা সুস্থ থাকবে, তা আপনার উপরেই নির্ভর করছে। কারণ, আপনি যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন, সেভাবেই নিয়ন্ত্রিত হবে। তাই এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না, যাতে আপনার খুদেকে কষ্ট পেতে হয়।