কপিল-সলমনকে খুনের হুমকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের, তারকাদের নিরাপত্তা চেয়ে অমিত শাহের দ্বারস্থ ফিল্ম সংগঠন

কপিল-সলমনকে খুনের হুমকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের, তারকাদের নিরাপত্তা চেয়ে অমিত শাহের দ্বারস্থ ফিল্ম সংগঠন

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের কমেডি শোয়ে সলমন খানকে আমন্ত্রণ করে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় কপিল শর্মা। এই নিয়ে একমাসে দু’বার কৌতুকশিল্পীর কানাডার ক্যাফেতে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই এক বিস্ফোরক অডিও ক্লিপে ঘটনায় দায় স্বীকার করে নিয়েছে গ্যাংস্টার গোল্ডি ধিঁলো। যিনি লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য। সেই অডিও বার্তাতেই বিষ্ণোইদের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, “সলমন খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই কপিল শর্মার ক্যাফেতে গোলাগুলি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ সলমনের সঙ্গে কাজ করলে তাঁকেও চরম পরিণতি ভুগতে হবে। এবার সোজা বুকে গুলি চলবে।” বলিউড তারকাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্ত হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাংশ। তাঁদের নিরাপত্তা চেয়ে এবার অমিত শাহের দ্বারস্থ অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন।

কপিল শর্মার কানাডার ক্যাফেতে দ্বিতীয়বার গোলাগুলি করে দুষ্কৃতীদের শাসানি, “পরের হামলা মুম্বইতে।” সেই প্রেক্ষিতেই কৌতুকশিল্পীর বাড়িতে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ। বাড়ানো হয়েছে কপিলের নিরাপত্তা। এদিকে একের পর এক তারকার উপর আক্রমণে গর্জে উঠেছে ফিল্ম সংগঠন AICWA। এক ফেসবুক পোস্টে ফিল্ম সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, “ভারতীয় সিনেইন্ডাস্ট্রির উপর এই হামলা একেবারে পূর্বপরিকল্পিত। এটা সিনেশিল্পের মর্যাদায় আঘাত হানা এবং আমাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা। এটা তো নয়ের দশকের অন্ধকার অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি। যখন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনদের হুমকি, তোলাবাজিতে বলিউড ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে থাকত। নয়ের দশকের সেই অন্ধকার পর্বকে যে আবারও পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে, সেটা স্পষ্ট। সেসময়ে বলিউড আন্ডারওয়ার্ল্ড সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজির র‍্যাকেটের বাড়বাড়ন্তে ভয়ে কাঁপত। ঠিক সেরকমভাবেই সিনেদুনিয়ার তারকাদের নিশানা করা হচ্ছে কখনও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে আবার কখনও ভয় দেখিয়ে। যা ভীষণই বিপজ্জনক প্রবণতা।”

AICWA-এর দাবি, “এটা শুধু কপিলের ক্যাফে বলে নয়, সলমন খান, বাবা সিদ্দিকি, সইফ আলি খানের উপর সাম্প্রতিক আক্রমণ সেদিকেই ইঙ্গিত করে। এরপর কে? এই প্রশ্নটাই ঘুরছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। এইধরণের হামলার ঘটনা ঘটিয়ে তারকাদের ভয় দেখিয়ে তাঁদের সৃজনশীল স্বাধীনতা নষ্ট করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় সিনেসংস্কৃতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।” সেই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে সংশ্লিষ্ট ফিল্ম সংগঠনের আর্জি, তিনি যেন কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিষয়টি আলোচনা করেন। পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে ভারতীয় নাগরিক এবং তারকাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জিও জানানো হয়েছে AICWA-এর তরফে। সংগঠনের দাবি, এহেন ঘটনা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। যাঁদের রুজিরুটি এই সিনেইন্ডাস্ট্রির উপরই নির্ভরশীল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *